সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে আরও একজন। এবার বামাপদ দে নামে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, কয়লা কাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে তার কাছে। কীভাবে তাকে জেরা করা হবে, কোন কোন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, ইতিমধ্যেই তা ঠিক করা হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, তদন্তে সহযোগিতা না করলে কঠোর পদক্ষেপও নিতে পারেন তদন্তকারীরা।
কাদের মারফত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও বিনয় মিশ্রের কাছে টাকা পৌঁছত, দীর্ঘদিন ধরে এবিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছিল ইডি, সিবিআই। তালিকায় উঠে এসেছিল কলকাতার ২৬ জন ব্যবসায়ীর নাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। সেখানেই মিলেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অ্যাকাউন্টে লালা ও বিনয় মিশ্রর টাকা লেনদেনের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্যবসায়ীদের মারফত টাকা পৌঁছত বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝির কাছে। তারপর তাঁরা সেই টাকা পাঠাতেন প্রভাবশালীদের। ইডি আধিকারিকদের অনুমান, সন্দেহভাজনদের তালিকার বাকি ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তে প্রয়োজনীয় আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
[আরও পড়ুন: ‘পশ্চিমবঙ্গকে গ্রেটার বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত’, জোটের ব্রিগেডকে তীব্র আক্রমণ দিলীপের]
উল্লেখ্য, কয়লা পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ব্যবসায়ী রণধীর বার্নওয়ালকে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বার্নওয়ালকে কলকাতায় সিবিআইয়ের নিজাম প্যালেসের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অভিযোগ, কয়লা পাচারের কালো টাকা বাজারে খাটাতে মদত করতেন বার্নওয়াল। তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে পাচারচক্রের মাস্টারমাইন্ড অনুপ মাঝি ওরফে লালার। সেই সূত্রে একাধিক রাজনীতিবিদ ও পুলিশ আধিকারিকদের কালো টাকা বাজারে খাটিয়েছেন বাঁশদ্রোণীর ওই ব্যবসায়ী। এদিকে কয়লা কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।