সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝ সমুদ্রে নিখোঁজ। তারপর উপকূল থেকে ২২ মাইল দূরে মিলল খোঁজ। সাত যাত্রী-সহ পবনহংসের হেলিকপ্টারের সলিলসমাধি হল আরব সাগরে। শনিবার এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চার যাত্রীর। ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, চপারে ২ জন পাইলট ছিলেন এবং বাকি যাত্রীরা প্রত্যেকেই ওএনজিসির কর্মী ছিলেন। মুম্বই উপকূল থেকে ২২ মাইল দূরে আরব সাগরে উদ্ধার হয় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ১০.৩৫ মিনিট নাগাদ মুম্বইয়ের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল চাপরটির। তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সেটি। সেটির খোঁজে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হেলিকপ্টার ও হোভারক্রাফ্ট আরব সাগরে বেশ কয়েক মাইল চষে ফেলে। অবশেষে উপকূল থেকে ২২ মাইল দূরে তার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া দেহ রোহিত গর্গ নামে এক কর্মীর বলে জানা গিয়েছে।
[চিন শক্তিশালী হলে ভারতও দুর্বল নয়, কড়া বার্তা সেনাপ্রধানের]
এদিন চপারটি সকাল ১০.২০ মিনিটে মুম্বইয়ের জুহু অসামরিক বিমানবন্দর থেকে টেক-অফ করে। মাঝ সমুদ্রে ওএনজিসি-র নর্থ ফিল্ড স্টেশনে সকাল ১০.৫৮ মিনিটে চপারটির অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু টেক-অফের ১৫ মিনিট পরেই নিখোঁজ হয়ে যায় চপারটি। ভারতীয় নৌসেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুটি সার্চ ভেহিকল এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিনটি ইউনিটকে নিয়োগ করা হয় উদ্ধারকার্যে। অনুমান, চপারটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ক্র্যাশ করে। তাতে চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। সকালে হেলিকপ্টারটি নিখোঁজ হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি উপকূলরক্ষী বাহিনী। তবে আদৌ যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কারণে চপারটি ক্র্যাশ করেছে তা এখন তদন্তসাপেক্ষ। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মদত চান পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
[নকশালদের ভয়ে কাঁটা, মুক্ত কারাগারে না পাঠানোর করুণ আর্তি লালুর]
The post ONGC-র চপার ভেঙে পড়ল আরব সাগরে, ৪ যাত্রীর সলিলসমাধি appeared first on Sangbad Pratidin.