সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) থেকে কেনা অপরিশোধিত তেল দেশের দুই সংস্থা হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে বিক্রি করল ওএনজিসি (ONGC) বিদেশ লিমিটেড। এমাসেই তেল বিক্রির টেন্ডার ডেকেছিল ওই সংস্থা। কিন্তু সেভাবে বিদেশি ক্রেতা না মেলার পরে অবশেষে দুই স্বদেশীয় সংস্থাকেই ওই তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল তারা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ইউক্রেন হামলার ধাক্কায় জারি হওয়া অসংখ্য নিষেধাজ্ঞায় বেকায়দায় রাশিয়া। তাই সেদেশের তেল বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দরে। এই সুযোগে তাদের থেকে তেল কেনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে দেশের জ্বালানি আমদানি নিয়ে ওয়াশিংটনের রাজনীতি মেনে নেওয়া হবে না বলে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এরপরই জানা গিয়েছিল মস্কোর থেকে অপরিশোধিত তেল কিনেছে ভারতীয় সংস্থা।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের অবসান, পদ্মশ্রী শিবানন্দের বয়স ১২৬-ই, জানিয়ে দিল বাংলাদেশ]
এর আগে জানা গিয়েছিল, কম দামে রাশিয়া থেকে তিন মিলিয়ন ব্যারেল তেল কিনেছে ‘ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন’। এই বিষয়ে ইঙ্গিতে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিকে ভারত সরকারের তোপ, “যারা নিজেরা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে তাদের মুখে নিষেধাজ্ঞার কথা মানায় না। ভারতের জ্বালানি প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রাজনীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
রাশিয়ার (Russia) থেকে বিশেষ ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কেনার বিষয়ে সম্প্রতি ভারতকে সতর্ক করেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের মন্তব্য, রুশ তেল আমদানির জন্য হয়তো ভারতের উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। কিন্তু এর ফলে ইতিহাসে নয়াদিল্লির অবস্থান কিন্তু লেখা থাকবে অন্যভাবে। ইতিহাসের ভুল দিকেই থাকবে নয়াদিল্লি। সরাসরি না বলেও এভাবেই ভারতকে বিঁধেছে আমেরিকা। এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকির কাছে জানতে চাওয়া হয় ভারত কি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে? জবাবে তিনি বলেন, ”আমার মনে হয় না এর ফলে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। কিন্তু এও মনে হয়, পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে এই মুহূর্তে ইতিহাস লেখা হলে কে কোন পক্ষে থাকবে। রাশিয়ার নেতৃত্বকে সমর্থনের অর্থই তাদের আগ্রাসনকেও সমর্থন করা। যে আগ্রাসনের ফলাফল ভয়ংকর।”