সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি পরিবারতন্ত্রে চলে না। সেজন্যই দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির থেকে আলাদা বিজেপি। জেপি নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda) বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর, ফের নাম না করে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “পূর্বসুরীদের মতো নাড্ডাও বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আজ তিনি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। এটা একমাত্র বিজেপিতেই হয়। একমাত্র বিজেপিতেই দেশপ্রেমের উপর ভিত্তি করে কর্মীদের উন্নতি হয়।”
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দেশের সবচেয়ে পুরনো দলের বিরুদ্ধে এই পরিবারতন্ত্রই মূল হাতিয়ার বিজেপির (Bharatiya Janata Party)। আর এই অভিযোগ একেবারেই অমূলক নয়। কারণ, গত দু’দশক ধরে কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ বসেননি। যদিও কংগ্রেসের দাবি, জনপ্রিয়তার ভিত্তিতেই কংগ্রেসের শীর্ষপদে বসেছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। এর পিছনে পরিবারতন্ত্রের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে, বিজেপি এই কয়েকবছরে বেশ কয়েকবার সভাপতি বদল করেছে। এবং যাঁরা সভাপতি হয়েছেন, তাঁরা কেউই রাজনৈতিক ঘরনারা নন। সভাপতি হওয়ার পর এই সত্যিটাই এদিন তুলে ধরলেন জেপি নাড্ডা। তিনিও অমিতের সুরে বললেন, “আমার মতো একজন ছোটখাটো কর্মী, যাঁর কোনও রাজনৈতিক অতীত নেই, যে হিমাচলের একটি প্রান্তিক এলাকা থেকে উঠে এসেছে। সে আজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আমার মতো কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, এটাই বিজেপির বিশেষত্ব। এর এটা একমাত্র বিজেপিতেই সম্ভব।”
[আরও পড়ুন: দায়িত্ব কমল অমিত শাহর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন জেপি নাড্ডা]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য জেপি নাড্ডার সংবর্ধনা সভাকে CAA বিরোধীদের তোপ দাগতে ব্যবহার করলেন। তিনি বলছেন, CAA নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। যাঁরা রাজনৈতিকভাবে মানুষের মন থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁরাই এই মিথ্যাচার করছে। উল্লেখ্য, সভাপতি হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে আলোচনা করেছেন জেপি নাড্ডা। আগামীদিনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে কীভাবে প্রচার করা হবে, এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়েও দিকনির্দেশ করেন বিজেপির নতুন সভাপতি।
The post ‘ফের প্রমাণ হল বিজেপিতে পরিবারতন্ত্র চলে না’, নাড্ডার অভিষেকের পর দাবি অমিতের appeared first on Sangbad Pratidin.