সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবর্তনের হাওয়া ওপেনএআই-এ। অলাভজনক সংস্থা থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে চাইছে স্যাম অল্টম্যানের সংস্থা। সম্প্রতি এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন খোদ অল্টম্যান। তবে এই প্রক্রিয়া যে অত্যন্ত জটিল তাও মানছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে উঠে আসছে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে থাকা আর একটি উদ্দেশ্যও!
কী সেই উদ্দেশ্য? আসলে নিজের তৈরি প্রতিষ্ঠান থেকেই বিতাড়িত হতে হয়েছিল ChatGPT-র স্রষ্টা অল্টম্যানকে। সিইও পদ থেকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ‘ওপেন এআই’-এর বোর্ড। একটি ব্লগ পোস্টে বোর্ড সাফ জানায়, অল্টম্যানের উপর আস্থা নেই। প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাঁর। কিন্তু এরপরই শুরু হয় প্রতিবাদ। চ্যাটজিপিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা সংস্থার প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান নিজে থেকেই পদত্যাগ করেন। তাঁকে ফেরানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন ‘ওপেন এআই’-এর বিনিয়োগকারীরা! সংস্থার বহু কর্মীই হুঁশিয়ারি দেন, যদি অল্টম্যানকে না ফেরানো হয় তাহলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে যেতে থাকে। এই অবস্থায় তাঁকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
ঘটনা প্রায় একবছরের। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে অল্টম্যান ভোলেননি তাঁর নিগ্রহের পিছনে থাকা মানুষগুলিকে। তাঁরা সকলেই সেই অলাভজনক সংস্থার সদস্য যাঁরা রয়েছেন ওপেনআই-এর নিয়ন্ত্রণে। কয়েকমাস আগে এলন মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন, অল্টম্যানের সংস্থার আসল লক্ষ্য ছিল কৃত্রিম মেধাকে মানব সভ্যতার কাজে লাগানো। কিন্তু এখন অলাভজনক সংস্থা হয়েও ওপেনএআই মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যেই কাজ করছে। আর এই যে চরিত্র বদল, এর পিছনে রয়েছেন অল্টম্যানই। কেবল তাই নয়, তিনি একক নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান সংস্থাকে। যা নাপসন্দ ওই সংস্থার। এবার সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই 'প্রতিশোধ'ও নিতে চান অল্টম্যান। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই। তবে কাজটা যে 'জটিল' তা মেনে নিচ্ছেন তিনি। আর সেজন্য নিজেকে দিয়েছেন দুবছরের ডেডলাইন। আপাতত সেদিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।