সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোরে নানা মুশকিলই আসান হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের নানা কাজকর্ম ছাড়াও, বিভিন্ন বিষয়ে পরিষেবা পেতেও ব্যবহার করা হচ্ছে AI-কে। আর এক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়েছে ওপেন এআইয়ের চ্যাট জিপিটি। কিন্তু জানেন কি পড়ুয়ারা তাদের হোমওয়ার্ক করার জন্যও এখন নানা সময় এই চ্যাটবটের শরণাপন্ন হচ্ছে? এই গোপনীয়তা কীভাবে ফাঁস হবে শিক্ষকদের কাছে?
ওপেন এআই (OpenAI) কিন্তু কার্যত এনিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। বলে দিচ্ছে, চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীরা হোমওয়ার্ক করলে, ধরতেই পারবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আসলে AI যে সমস্ত কনটেন্ট তৈরি করছে, তা সাধারণ ভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তা কৃ্ত্রিম বুদ্ধিমত্তার কেরামতি নাকি কোনও ব্যক্তি বিশেষের কাজ।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেন বাদ শামি? ক্ষুব্ধ সমর্থকদের প্রশ্নে বিদ্ধ রোহিতরা]
এবার বলতে পারেন, একটি কনটেন্ট দেখিয়ে চ্যাট জিপিটি-কে (ChatGPT) যদি জিজ্ঞেস করা হয় সেটি এআই তৈরি করেছে কি না, তাহলে ব়্যানডাম উত্তর দিচ্ছে এই চ্যাটবট। অর্থাৎ সবসময় যে তা ঠিকঠাক উত্তর দিচ্ছে, এমন কোনও মানে নেই। আর সেই কারণেই শিক্ষকদের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয় যে হোমওয়ার্কটি মানুষের করা নাকি এআইয়ের।
ওপেন এআই সংস্থার দাবি, যে সব পড়ুয়ার দ্বিতীয় ভাষা ইংরাজি, কিংবা নতুন ধরনের ইংরাজি কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করছে, তারাই সাধারণত চ্যাট জিপিটির সাহায্য নিচ্ছে। এআইয়ের সাহায্য নিয়ে প্রাথমিক কাজটা করে নিয়ে তাতে একটু আধটু বদল করে দেওয়ার ফলে বিষয়টা যে প্রযুক্তি নির্ভর, তা আরওই বুঝতে পারছেন না শিক্ষকরা। তাই এ প্রবণতা রুখতে হোমওয়ার্কের ক্ষেত্রে কী বদল আনা যেতে পারে, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ শিক্ষকদের।