সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মিটেছে অথচ শুভেন্দু-অভিষেক দ্বন্দ্ব চলছেই। এবার প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতে সম্মুখ সমরে যুযুধান দু’পক্ষ। সকালেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধেছিলেন তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পালটা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, “অভিষেক রাজনীতিতে এখনও নাবালক। ওই নাবালক নেতার কথার উত্তর দেব না।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর আজই প্রথমবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কক্ষে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। একের পর এক ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ঢেলে সাজবে ‘যশ’ বিধ্বস্ত দিঘা, সৌন্দর্যায়নের নকশা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, “সুপ্রিম কোর্ট, অন্ধ্র হাই কোর্টের নির্দেশের পরও রাজ্যে এখনও সিকিউরিটি কমিশন চালু হয়নি কেন?” এর পিছনে রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে শুভেন্দুর অভিযোগ. “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছেন।” এদিন আলাপন ইস্যুতেও রাজ্যকেও বেঁধেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “আলাপন ও তৃণমূল একই কথা বলছে। আলাপনকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য।” পাশাপাশি, অভিষেককেও তুলোধোনা করলেন তিনি।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষের জন্য কাজ করছিলেন উনি। যিনি কাজ করছেন, তাঁকে কেন বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে শোকজ করা হচ্ছে? এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তাহলে যাঁরা রাস্তায় নেমে কোভিড ছড়াচ্ছে, তাঁদের কেন শোকজ করা হবে না? রাজনৈতিক পার্টিগুলিকে কেন শোকজ করবে না? কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিরপেক্ষ হয়, আমাকেও শোকজ করুন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (অমিত শাহ) শোকজ করুন। সর্বভারতীয় সভাপতিকেও (জেপি নাড্ডা) শোকজ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীকেও শোকজ করুন।” এর পালটা অভিষেককে ‘নাবালক’ বলে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা।