সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমার কাছে ‘মন কি বাত’ ঈশ্বররূপী জনতা জনার্দনের চরণে প্রসাদের থালার মতো।’ মন কি বাতের (Maan Ki Baat) শততম পর্বে দেশবাসীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদি যে জনতা জনার্দনের কথা বলছেন, তাঁদের জন্য জরুরি কোনও ইস্যু ‘মন কি বাতে’ থাকে না কেন?
এদিন মন কি বাতের শততম পর্ব শুরুর আগেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) টুইটে প্রবল কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন মোদির উদ্দেশে। তিনি বলেন,”আজ ফেকু মাস্টারের জন্য বিশেষ দিন। মন কি বাতের শততম পর্ব খুব ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দেশের আর্থিক পরিস্থিতি, আদানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা, মহিলা কুস্তিগিরদের অপমান, কর্ণাটকের ডবল ইঞ্জিন সরকারের দুর্নীতি, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ঠগবাজদের সম্পর্কে কোনও কথা মন কি বাতে শোনা যায় না। এটা আসলে মউত কি বাত।”
[আরও পড়ুন: এমআরআই করাতে গিয়ে বিপত্তি, মৃত্যু ব্রেবোর্ন কলেজের ছাত্রীর]
কংগ্রেস একা নয়, তৃণমূলও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন কি বাতের উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অনুষ্ঠানের আগেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) প্রশ্ন ছিল, “প্রধানমন্ত্রীজি বলবেন কি, কেন বিজেপির ভক্ষকদের হাত থেকে দেশের অ্যাথলিট মেয়েদেরও বাঁচানো যাচ্ছে না? কেনই বা আদানি কাণ্ডের তদন্তে সেবি বাড়তি সময় চাইছে?” তৃণমূল এবং কংগ্রেসের এই খোঁচার অবশ্য কোনও জবাব এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে মেলেনি। যে যে ইস্যুগুলি বিরোধীরা তুলেছে, সেসব নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কোনও মন্তব্য এদিনের পর্বে ছিল না।
[আরও পড়ুন: কাজের খোঁজে বিদেশে গিয়ে বিপাকে মুর্শিদাবাদের ৩ যুবক, ছেলের চিন্তায় প্রাণ গেল বাবার]
তবে বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুক, বিজেপি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয় এই রেডিও অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশের প্রায় ১০ হাজার জায়গায় এদিন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার ব্যবস্থা করেছিল গেরুয়া শিবির। প্রায় ১০ লক্ষ লোককে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের ছোটবড় সব নেতাই এদিনের অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে জনসংযোগে নেমে পড়েছিলেন। সেই তালিকায় নাম রয়েছে এরাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও।