সুকুমার সরকার, ঢাকা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমন্ত্রিত হিসেবে আগামী ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে স্বাগত জানাবেন বাংলাদেশের জনগণ। শনিবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিরোধী দলনেত্রী রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান মিত্র। বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ। নরেন্দ্র মোদি আমাদের রাষ্ট্রীয় অতিথি। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান মিত্র ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর এই সফর উষ্ণ ও আন্তরিকতাপূর্ণ হবে এবং দেশের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বন্ধনকে স্মরণ করবেন।”
শনিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রওশন এরশাদ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করতে গিয়েই বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ মোদিকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছেন।” এদিনের বক্তব্যে দিল্লিতে সাম্প্রতিক হিংসার কথা উল্লেখ করে রওশন বলেন, “এই ঘটনা দুঃখজনক ঠিকই। কিন্তু কোনও একটি দিক বিবেচনায় এনে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়নি, হবেও না। যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সার্বিক পরিবেশ ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দিল্লির সম্প্রতি ঘটনায় ভারতের বিবেকবান মানুষ দলমত-ধর্মের উর্ধ্বে উঠে হিংসার নিন্দা জানিয়েছে এবং সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছেন, এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষে ঢাকায় ইন্দিরা গান্ধী ও বাজপেয়ীর নামে রাস্তার প্রস্তাব]
আর এ প্রসঙ্গেই দেশের জনগণের প্রতি রওশনের বার্তা, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে দিল্লির ঘটনায় বাংলাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, এ কথা সত্য। কিন্তু বিশ্ব মানবতার প্রতি বরাবরের মতো আস্থা রেখে ধৈর্য ধরা উচিত। নরেন্দ্র মোদির সফরকে ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে মিলিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ডাক না দিয়ে উচিত, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বন্ধু ভারতের প্রধানকে স্বাগত জানানো। অতিথি পরায়ণ হিসেবে বাংলাদেশের যে সুনাম আছে, মোদির সফরেও তা অক্ষুণ্ন রাখার আবেদন জানান দেশবাসীর কাছে।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নির্যাতনের জের, সু কি’কে দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে নিল লন্ডন]
The post মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ, মোদির সফর নিয়ে আশাবাদী ঢাকা appeared first on Sangbad Pratidin.