সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেহরক্ষী মৃত্যু মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তলব করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ সিআইডি সদরদপ্তর ভবনী ভবনে হাজির হতে বলা হয় তাঁকে। তবে শোনা যাচ্ছে হাজিরা এড়াতে পারেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
জানা গিয়েছে, আইনজীবী মারফৎ এ বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সিআইডির কাছ থেকে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নেবেন তিনি। আসলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেই কারণেই সোমবার ভবানী ভবনে হাজিরা এড়াতে পারেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ভবানীপুর উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের ভোটের প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল]
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় বেশ কয়েকজনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। যে সব নিরাপত্তারক্ষী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কর্মরত ছিলেন এবং ঘটনার দিন যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করেছে সিআইডি। এমনকী এই মামলার অভিযোগকারিণী অর্থাৎ শুভেন্দুর দেহরক্ষী শুভব্রতের স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তীর বয়ানও রেকর্ড করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। এবার সেই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর কী বক্তব্য, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সে কারণেই সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ভবানী ভবনে। যদিও শোনা যাচ্ছে, তাঁর হাজিরা দেওয়ার সম্ভাবনা কম।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন শুভব্রত। তাই এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দিন শুভেন্দু অধিকারী কোথায় ছিলেন, তিনি কখন জানতে পারলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী মারা গিয়েছেন, মৃত শুভব্রতর স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর কী বক্তব্য, তা জানতে চায় তদন্তকারীরা। সে কারণেই প্রথমবার এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করল সিআইডি। এর আগে যেখানে ঘটনা ঘটেছিল সেখানেও যান তদন্তকারী গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: WB By Election: ‘হৃদমাঝারে রাখব’, একতারায় সুর তুলে ভবানীপুরে মমতার হয়ে দেওয়াল লিখলেন মদন]
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর ২ বছর ৮ মাস পর মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। দায়ের হওয়া অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।