সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। কিছুটা হলেও কেঁপে উঠেছে দিল্লির মসনদ। দাবানলের আঁচ পেরিয়ে গিয়েছে দেশের সীমানা। এহেন অনুকূল পরিস্থিতিতেও শাসকদলকে ঘিরে ধরতে অক্ষম কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবার কৃষকদের ‘স্বার্থে’ রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করতে গেলে ফের বিরোধী শিবিরে ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠল।
[আরও পড়ুন: কুতুব মিনার চত্বরে ২৭টি মন্দির থাকার দাবি! ‘পুজোর অধিকার’ চেয়ে দায়ের মামলা]
এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির হন কংগ্রেস ও বাম দলগুলির প্রতিনিধিরা। ওই দলে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। কেন্দ্রের নয়া কৃষক আইন নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে একটি স্মারকপত্র জমা দেন তাঁরা। অইথক শেষে ইয়েচুরি বলেন, “অগণতান্ত্রিকভাবে যে কৃষি আইন এনেছে কেন্দ্র আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।” কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “গত ১৩ দিন ধরে প্রচণ্ড শীতে শান্তিপূর্ণভাবে বসে কৃষকরা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। যে কৃষকরা দেশকে তৈরি করেছেন বা বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কোনও প্রকার আলোচনা ছাড়াই যেভাবে কৃষি আইন পাশ করা হল তা কৃষকদের অপমান।”
বিরোধীদের প্রতিবাদের লক্ষণীয় বিষয় হল। এদিন বাম ও কং প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের কোনও সদস্য। সূত্রের খবর, প্রতিবাদের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকায় ক্ষুণ্ণ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজিরা এড়িয়ে যায় তৃণমূল। একসঙ্গে গেলেও, ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যেও ঐক্যের অভাব স্পষ্ট ছিল। এদিন, রাষ্ট্রপতি ভবনে ২৪টি রাজনৈতিক দলের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে মাত্র ৫টি দলের প্রতিনিধিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে কৃষক বিক্ষোভের মতো উত্তেজক পরিস্থিতিতেও শাসকদলকে ঘিরে ফেলতে বিরোধী ঐক্যের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে, সরকারের সংশোধনের প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার না করা হলে, একে একে রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশ করার সমস্ত রাস্তা তারা বন্ধ করে দেবে।