সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় রেল মানেই দুর্ঘটনা? ২০২৩ সালে বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, চলতি বছরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। এবার লাইনচ্যুত হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এভাবে একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রকে তোপ দাগতেই আসরে নামলেন বিরোধী ‘ইন্ডিয়া' জোটের নেতা-নেত্রীরা।
ঝাড়খণ্ডে হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতার প্রশ্ন, "আমি জানতে চাই, এটাই কী প্রশাসন? প্রায় প্রতি সপ্তাহে দুঃস্বপ্ন অব্যাহত। রেলপথে মৃত্যু এবং আহতদের মিছিল লেগেই রয়েছে। আমরা কতদিন ধরে এটা সহ্য করব? ভারত সরকারের উদাসীনতার শেষ হবে না?!" সোশাল মিডিয়ার পোস্টের শেষাংশে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর ফের ‘কবচ’ সুরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়নে ‘ঢিলেমি’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, "রেলে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় দাবি করে সরকার। তারপরও দুর্ঘটনা কী ভাবে হচ্ছে? কেন সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে?"
[আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ড: CBI মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিন, জেলমুক্তি হবে?]
অখিলেশ কটাক্ষ করেন, "এই সরকার একের পর এক প্রশ্নপত্রে ফাঁসের ঘটনায় রেকর্ড করেছে। এবার রেল দুর্ঘটনাতেও রেকর্ড করবে। সরকারের এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যাতে করে দুর্ঘটনা বন্ধ হয়।" কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শিব সেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীও। একাধিক রেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্রের 'লজ্জাজনক উদাসীনতা' বলেছেন প্রিয়াঙ্কা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, "আজ পর্যন্ত অসংখ্য মৃত্যুর পরেও জবাবদিহি নেই। আমার ধারণা এই ঘটনাও কোনও প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে, তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও একটি ইনস্টাগ্রাম রিল বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি।"
[আরও পড়ুন: ওয়ানড় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মোদির]
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাজি বলেছেন, "অর্থমন্ত্রী রেলের ব্যাপারে কোনও কথাই বললেন না (বাজেটে)। আগে রেলের জন্য পৃথক বাজেট হত। এখন রেলের জন্য কিছুই করছে না কেন্দ্র।" 'কবচ' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরজেডি নেতা মনোজ ঝাঁ, "গত বছরের বাজেটে ‘কবচ’ ব্যবস্থা নিয়ে বড় বড় দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এ বারের বাজেটে এক বারের জন্যও সেটির কথা উল্লেখ করলেন না।" কংগ্রেস সাংসদ মানিকরাম ঠাকুর রেলমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন, "অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলমন্ত্রী হিসাবে নন, রেল দুর্ঘটনা মন্ত্রী হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।"