সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতির হাল ফেরাতে টাকায় দেওয়া হোক লক্ষ্মী-গণেশের ছবি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) এই ‘আবদার’ নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। কেজরিওয়ালের এই মন্তব্য বিজেপির জন্য শাঁখের করাতের মতো। গেরুয়া শিবির সরাসরি আপ সুপ্রিমোর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করতে পারছে না, আর সমর্থনের তো প্রশ্নই নেই। কংগ্রেস অবশ্য সরাসরি কেজরিওয়ালকে বিঁধে বলে দিচ্ছে, আরএসএসের (RSS) বি টিমের মতো ভোটব্যাংকের রাজনীতি করছেন আপ সুপ্রিমো।
আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় মুদ্রায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর দাবি জানিয়েছেন। কেজরিওয়ালের দাবি, নতুন করে যে নোট দেশে ছাপানো হবে, সেখানে একটি পিঠে থাকুক মহাত্মা গান্ধীর (Mohatma Gandhi) ছবি। আর অন্য পিঠে ফুটে উঠুক লক্ষ্মী-গণেশের মুখ। তাঁর মতে, নোটে দেব-দেবীর ছবি থাকলে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে। বর্তমান দুর্দশা কাটিয়ে উঠবে অর্থনীতি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির হিন্দুত্ব অস্ত্রেই বিজেপিকে বিঁধতে চাইছেন আপ সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীকে মুসম্বির জুস, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে যোগীরাজ্যের হাসপাতাল]
কেজরিওয়ালের এই প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও বিজেপি নেতারা অন্যান্য ক্ষেত্র তুলে এনে তাঁকে আক্রমণ করছেন। বিজেপি মুখপাত্র তেজিন্দর পাল সিং বাগগা বলছেন,”কেজরিওয়াল শুধু আতস বাজি পোড়ানোর জন্য হিন্দু শিশুদের জেলে ভরতে চান। এখন নিজের ঔরঙ্গজেবের মতো ভাবমূর্তি ভাঙতে এসব বলছেন। হিন্দু সাজার চেষ্টা করছেন।” দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলছেন, “কেজরিওয়াল নিজের হিন্দুবিরোধী মুখ লুকোনোর মরিয়া চেষ্টা করছেন। কিন্তু তিনি তাতে ব্যর্থ হবেন।” তিওয়ারির সাফ কথা, হিন্দু দেবদেবীর সম্মান করাটা বিজেপিকে কারও কাছে শিখতে হবে না।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির পদে শপথ খাড়গের, তবু অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস গান্ধীদের ঘিরেই]
শুধু বিজেপি নয়, অন্য বিরোধী দলগুলিও টার্গেট করছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেস যেমন বলছে, ভোটব্যাংকের জন্য কেজরিওয়াল সব বলতে পারেন। কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত যেমন বলছেন,”ও তো বিজেপি আরএসএসের বি টিম। কেজরিওয়াল কিছুই বোঝে না। ভোটব্যাংকের জন্য ও সব বলতে পারে। কেজরিওয়াল যদি পাকিস্তানে যায় তাহলে সেখানে গিয়েও বলবে আমি পাকিস্তানি।” তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এ নিয়ে স্পষ্ট করে মুখ খোলেনি। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছিলেন, কেজরিওয়াল এসব কেন বলছেন, তিনি নিজেই জানেন। যেখানে অর্থনীতির বেহাল দশা, সেখানে এসব ভাবার কোনও অর্থ হয় না।