সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার বঞ্চনার কথা বলতেই থামিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক। নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। মমতার সেই অভিযোগ নিয়েই এবার সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, "এনডিএ (NDA) শরিকদের বেশিক্ষণ বলতে সময় দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রবাবু নায়ড়ুকে ২০ মিনিট কথা বলতে সময় দেওয়া হয়। বাজেটে কিছু নেই, জিরো। বৈষম্য করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এটা কি সম্ভব? সকলের দিকে নজর দিতে হবে। এভাবে সরকার চলে না। একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। এসব বলতেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাকে ৫ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি।"
[আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জের, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা]
মমতার পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? এভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আচরণ করা যায়? বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারকে বুঝতে হবে, বিরোধী দলগুলিও গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এভাবে শত্রুর মতো মুখ বন্ধ করিয়ে রাখা উচিত নয়। কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত বলে দিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, সেটা দেখা মনে হচ্ছে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।"
[আরও পড়ুন: কথার মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক! নীতি-বৈঠক থেকে ওয়াকআউট মমতার]
কেন্দ্র অবশ্য মমতার মাইক বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে টুইট করে দাবি করা হয়েছে, নীতি আয়োগের (Niti Ayog) বৈঠকে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেটা বিভ্রান্তিকর। পিআইবির দাবি, মমতাকে একটি ঘড়ি দেখানো হয়েছিল, তাঁর বলার সময়সীমা শেষ হয়ে আসছে সেটা বোঝাতে। এমনকী ঘণ্টাও বাজানো হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও দাবি করেছেন, "সব মুখ্যমন্ত্রীকে সমানভাবে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মমতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সঠিক নয়।"