সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে শুরু হচ্ছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে প্রচারের ময়দানে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই প্রচারেও প্রধানমন্ত্রীর হাতিয়ার ৩৭০ ধারা। শুক্রবার সাসারামের ব়্যালি থেকে এই ইস্যুতে বিরোধীদের কার্যত তুলোধোনা করেন মোদি। তাঁর এই ব়্যালি ঘিরে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সামাজিক দূরত্ব কার্যত শিকেয় তুলে হাজির হয়েছিলেন সমর্থকরা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। সভা থেকে কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, “সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন কবে ৩৭০ ধারা উঠবে। কিন্তু কেউ কেউ বলছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওই ধারা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। তারপরেও তাঁরা বিহারে ভোট চাওয়ার সাহস পায় কীভাবে? এটা বিহারর অপমান নয়? এই রাজ্য তাঁদের ছেলেমেয়েদের সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।” প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর পক্ষে সওয়ান করেছে কংগ্রেস। এদিন নাম না করেই তাঁদেরই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
[আরও পড়ুন : নিখুঁত লক্ষ্যভেদ! আস্ত জাহাজকে ডুবিয়ে দিল নৌসেনার অ্যান্টিশিপ মিসাইল, দেখুন ভিডিও]
রাজ্যের দুর্নীতি দমনে নীতীশ কুমারের সাফল্যেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন এনডিএ শিবিরের স্টার ক্যাম্পেনার নরেন্দ্র মোদি। বলেন, “নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অপরাধ এবং দুর্নীতির শিকার ছিল বিহার।” বিহারের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও নীতীশ কুমার সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করেছেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, আরজেডি-কংগ্রেসের জোটে থাকাকালীন নীতীশ কুমারকে কাজ করতে দেয়নি ওই জোট। এদিনের সভা থেকে রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁর ছেলে চিরাগ পাসোয়ান বা এলজেপি নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই চুপ থাকা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্টোদিকে এদিন তেজস্বী যাদবের হয়ে প্রচারে হাজির হয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তিনি এদিন ভাগলপুর ও নওয়াদায় সভা করেন। সেই সভা থেকে বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাহুল। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানেই মিথ্যা বলেন। বিহারবাসীরে মিথ্যা বলবেন না। গতবার নির্বাচনের আগে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা এখনও পূর্ণ হল না কেন?” হিসাুয়ার ব়্যালি থেকে তেজস্বীর প্রতিশ্রুতি, মুখ্যমন্ত্রী হলে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই ১০ লক্ষ চাকরির নির্দেশে স্বাক্ষর করব।”