সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়েছে সোমবার। 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে'র আড়াল আদতে নবান্ন অভিযানের ডাক যে আরএসএস, বিজেপিই দিয়েছে তা মোটের উপর স্পষ্ট। আন্দোলনের নামে বিজেপি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই মিছিল প্রত্যাখ্যানের আহ্বান 'রাত দখল' কর্মসূচির মহিলা বাহিনীর।
গোটা দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, "আজ ২৭ আগস্ট, ছাত্রসমাজের মিছিলের ডাক দিয়ে যারা নবান্ন অভিযান ডেকেছে তারাই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির পরে মালা পরায়, কাঠুয়াতে আর উন্নাওতে ধর্ষকদের সমর্থনে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করে। এরাই ব্রিজভূষণ সিংয়ের ঢাল হয়ে কুস্তিগীরদের আন্দোলনকে দমন করে আর হাথরসে নির্যাতিতার নিথর শরীরকে পুড়িয়ে দেয় প্রমাণ লোপাটের জন্য। মণিপুরে প্রশাসনের মদতে গণধর্ষণ সংগঠিত করে। অতএব ধর্ষণ সংস্কৃতির ধারক বাহক এই আরএসএস-বিজেপির ডাকা শক্তি যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মিছিল সংগঠিত করেছে সেভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে এদের মিছিল সংগঠিত করছে সেভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে এদের মিছিল সংগঠিত করতে দেখা যায় না। নিজেদের গদি দখলের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য এরা সাধারণ মানুষদের ক্ষোভকে ব্যবহার করে আমাদের জীবন বিপন্ন করতে পারে। ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই মিছিলে গুলি চলার ভবিষ্যৎবাণী করে জনমানসে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তাই আমরা সাধারণ মানুষকে এই মিছিল প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, বিজেপির অশান্তির বাঁধানোর চক্রান্ত ব্যর্থ করুন।"
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ! এবার আর্থিক দুর্নীতিতে মামলা দায়েরের পথে ইডি]
সোশাল মিডিয়ায় 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। তবে পুলিশের কাছ থেকে কোনওরকম অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই দাবি। সে কারণে এই আন্দোলনকে 'বেআইনি' বলে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। নবান্ন অভিযানে অশান্তি রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। রাস্তায় অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার পুলিশ নেমেছে। এছাড়া রবার বুলেট, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের বন্দোবস্তও রয়েছে। কোনওরকম অশান্তির চেষ্টা করলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।