সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক শেষ হয়েছে মাস দুয়েক হতে চলল। কিন্তু বিতর্কের আগুন এখনও নেভেনি। এবার চর্চায় রিলায়ন্সের সঙ্গে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার চুক্তি। ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই চুক্তির ফলে আইওএ-র বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর তার কারণ চুক্তিপত্রের 'গলদ'। অভিযোগের তীর খোদ আইওএ প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষার দিকে।
নীতা আম্বানি বর্তমানে ভারতের তরফ থেকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য। সেই আম্বানিদের রিলায়েন্সের সঙ্গে ২০২২-র আগস্টে চুক্তি করে আইওএ (IOA)। যার ভিত্তিতে আরআইএল-কে (RIL) এশিয়ান গেমস (২০২২, ২০২৬), কমনওয়েলথ গেমস (২০২২, ২০২৬), প্যারিস অলিম্পিক ও ২০২৮-র লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকের প্রধান পার্টনার করা হয়। আবার ২০২৩-এ শীতকালীন অলিম্পিক (২০২৬, ২০৩০) ও যুব অলিম্পিকের (২০২৬, ২০৩০) স্বত্বের জন্য রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু বদল আনা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী আরআইএল ভারতের অলিম্পিক সংস্থাকে ৩৫ কোটি টাকা দেবে। কিন্তু ক্যাগের অডিট রিপোর্ট বলছে, শীতকালীন ও যুব অলিম্পিককে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নতুন চুক্তি হওয়া উচিত ছিল ৫৯ কোটি টাকার। অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা লোকসান করেছে আইওএ। রিপোর্টে বলা হয়েছে চুক্তিতে গলদ রয়েছে এবং আইওএ নিজেদের স্বার্থ দেখেনি। ক্যাগের তরফ থেকে আইওএ প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষার থেকে উত্তর চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু কী সেই 'গলদ'? পিটির ঊষার পক্ষ থেকে কার্যনিবাহী সহকারী অজয়কুমার নারাং জানিয়েছেন, "প্রথম যখন চুক্তি হয়, তখন ইন্ডিয়া হাউসের আগে রিলায়ন্সের নাম যুক্ত করার স্বত্ব দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী তখন সেটা বৈধ ছিল। কিন্তু ২০২৩-এ আইওসি জানায়, এভাবে স্পনসরের নাম যুক্ত করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আরআইএলের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। সেই হিসেবে পরে চুক্তিতে চারটি ইভেন্টের স্বত্ব দেওয়া হয়। উচিত ছিল, ২০২২-র চুক্তিতে এই শর্ত রাখতে, যেখানে নামকরণের অধিকার আইওসি-র নিয়ম অনুযায়ী হবে।"
এখানেই বিতর্কের শেষ নয়। ভারতের অলিম্পিক সংস্থার কোষাধ্যক্ষ সহদেব যাদবের মতে, "রিলায়েন্স অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছে। তবে এ বিষয়ে কার্যকরী সমিতি, আর্থিক কমিটি এবং স্পনসরশিপের কমিটি কিছুই জানত না। একমাত্র প্রেসিডেন্টকেই এর উত্তর দিতে হবে। কীভাবে চুক্তিতে বদল এল? আর কারা সেটায় সই করল? এটা হওয়া উচিত ছিল না।"