শিলাজিৎ সরকার: বছর আড়াই আগে হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছিলেন অচিন্ত্য শিউলি। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জয়ের সুবাদে হাওড়ার এই তরুণ ভারোত্তোলককে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল বাংলা। কিন্তু গত বছর অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের শেষ প্রতিযোগিতায় নামার আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য জাতীয় শিবির থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। ফলে আর প্যারিস যাওয়া হয়নি অচিন্ত্যর।

অবশেষে ফের সাফল্যের চেনা পথে প্রত্যাবর্তনের দৌড়টা শুরু করলেন অচিন্ত্য। জাতীয় গেমসে ৮১ কেজি বিভাগে রুপো পাওয়ার মাধ্যমে। মোট ৩১৩ কেজি তুলে দ্বিতীয় হওয়ার পর ফোনে অচিন্ত্য বলছিলেন, "এখানে সোনা জিততে পারলে বেশি ভালো লাগত। তবে আমি খুশি। আরও একটু বেশি ওজন তোলার চেষ্টা করেছিলাম। আশা করছি পারফরম্যান্স ভালো করে ফের জাতীয় দলে ফিরতে পারব।"
বছর খানেক আগে পাতিয়ালার ক্যাম্পে মহিলা অ্যাথলিটদের হোস্টেলে ঢোকা নিয়ে বিতর্কে জড়ান অচিন্ত্য। সেই ঘটনার পর এই জাতীয় গেমসই তাঁর প্রথম বড় প্রতিযোগিতা। এখানেও কি সেই বিতর্কের ভার সঙ্গী হয়েছিল? অচিন্ত্যর জবাব, "আমার সঙ্গে কী হয়েছিল, আমি কী করেছিলাম, সবাই সব জানে। তাই আমাকে কামব্যাক করতেই হত। এই পদকটা আমার কাছে কামব্যাকের শুরু। তাছাড়া এই পদকের সুবাদে রাজ্য সরকারও আমাদের কিছু সাহায্য করবে। সেটা ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করবে।"
দু'টো ব্রোঞ্জও পেয়েছে বাংলা। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মিক্সড টিম ইভেন্টে অভিনব শ এবং ইস্মিতা ভাওয়াল তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ে হারালেন গুজরাতকে, ১৭- ১১ পয়েন্টে। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান নির্ধারণের ম্যাচে জিতল বাংলার পুরুষ খো-খো দল, কেরালাকে হারিয়ে। এই দলটার অনেকেই টিকিট কনফার্ম না হওয়ায় ট্রেনের মেঝেতে বসে-শুয়ে জাতীয় গেমসে খেলতে গিয়েছেন। এদিন বাংলার হয়ে খেলেন সদ্য খো- খো বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে থাকা সুমন বর্মনের মতো তারকাও।