সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর কোনও ক্রীড়াবিদ মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন না। প্রাথমিকভাবে দুই মহিলা ক্রিকেটার হরমনপ্রীত সিং এবং স্মৃতি মন্ধানার নাম ভাবা হয়েছিল। ভাবা হয়েছিল হকি তারকা হার্দিক সিংয়ের নামও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকেই 'যোগ্য' মনে করেনি গগন নারাংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এমনটাই দাবি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে কি প্রতিভার ঘাটতি পড়িয়াছে? নাহলে এত বড় দেশে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়ার মতো 'যোগ্য' কাউকে কেন খুঁজে পাওয়া গেল না?
প্রথমবার ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়। দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেটে মেয়েদের বিশ্বজয়, FIDE বিশ্বকাপ জয় দিব্যা দেশমুখের, প্যারা-আর্চারিতে বিশ্ব শিরোপা শীতল দেবীর, প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে প্যারা-অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা ও রুপো সুপ্রিয়া শর্মার। প্যারা-শুটিং বিশ্বকাপে সোনা অবনী লেখারার। খো খো বিশ্বকাপ জয় ভারতীয় মহিলা দলের। অর্থাৎ চলতি বছর ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য কম নয়। এসব বাদ দিলে যদি স্রেফ পুরুষ ক্রিকেটের নিরিখেও ধরা যায়, তাতেও ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দল এ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। হকি দল নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছে।
এত কিছুর পরও কাউকে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, খেলরত্নের জন্য কমপাউন্ড তিরন্দাজ জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম এবং হরমনপ্রীত ও স্মৃতির নাম নিয়ে অনেক ক্ষণ আলোচনা হয়। আলোচনা হয়েছে হকি তারকা হার্দিক সিংয়ের নাম নিয়েও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারও নাম বিবেচনা করেনি গগন নারাং, অপর্ণা পোপাট ও এমএম সোমায়ার কমিটি। ক্রিকেটারদের নাম বাদ দেওয়ার যুক্তি, বিসিসিআইয়ের তরফ থেকেই কারও নাম পাঠানো হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অন্য খেলায় সফলদের নাম কেন বিবেচ্য হচ্ছে না? কোথাও গিয়ে কি সঠিকভাবে অন্য খেলার মূল্যায়ন হচ্ছে না?
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে খেলরত্ন সম্মান দেওয়া শুরু করে ভারত সরকার। তারপর থেকে মাত্র দুবছর এই সম্মান দেওয়া হয়নি। এর আগে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে কেউ খেলরত্ন পাননি। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
