সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় পাশ জাতীয় ক্রীড়া বিল। যাকে ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ব্যাখ্যা করছেন, "স্বাধীনতার পর ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে একক বৃহত্তম সংস্কার" বলে। তবে ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীন বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর আগে দুপুর দুটো নাগাদ জাতীয় ডোপিং বিরোধী (সংশোধনী) বিলটিও পাস হয়।
লোকসভায় বিল পাশ হওয়ার পর মাণ্ডব্য আরও বলেন, "এই বিল ন্যায়বিচার, দায়িত্বশীলতা ও স্পোর্টস ফেডারেশনগুলোর জন্য সেরা পরিকাঠামো এনে দেবে। ভারতীয় খেলাধুলোর ইকোসিস্টেমে এটার বিরাট গুরুত্ব থাকবে। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে এত বড় একটা বিল পাশ হয়ে গেলেও বিরোধীদের কোনও ভূমিকা রইল না।"
তিনি আরও জানান, "২০১১ সালে আমাদের জাতীয় স্পোর্টস কোড ছিল। কিন্তু সেটা কখনও বিলে পরিণত হয়নি। অনেক আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও সেটা কখনই পার্লামেন্টে ওঠেনি। আর আজকের জাতীয় ক্রীড়া বিল দিক পরিবর্তন করবে। এত বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও অলিম্পিকে আমরা কোনও সাফল্য পাইনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও পারফরম্যান্স হতাশাজনক। এই বিলের মাধ্যম দিয়ে আমরা ভারতীয় ক্রীড়ার ক্ষমতা ও সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলব।"
বিসিসিআইয়ের মতো স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা প্রথম থেকেই ক্রীড়া বিলের অধীনে আসতে রাজি ছিল না। কারণ, আর্থিকভাবে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। যদিও ক্রীড়া বিলের অধীনে বিসিসিআইও থাকছে। তবে তাদেরকে আরটিআইয়ের অধীনে পড়তে হবে না। তা ছাড়া ভারতীয় বোর্ডের পদাধিকারী হওয়ার রাস্তা তুলনায় সহজতর হয়েছে কিছু সংশোধনের ফলে।
অন্যদিকে জাতীয় ডোপ-বিরোধী বিল মূলত ২০২২ সালেই আনা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ডোপ বিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) আপত্তিতে তা প্রয়োগ করা যায়নি। তাই ফের এই বিলের সংশোধন করা হল।
