সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সোনার ছেলে’ নীরজ চোপড়ার স্ত্রী হিমানি মোর খেলাধুলার জগতের সঙ্গে যুক্ত, এ কথা কমবেশি সকলেই জানেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দিল্লি ইউনিভার্সিটির হয়ে টেনিস খেলেছেন তিনি। এবার পেশাগত যাত্রায় নতুন বাঁক নিয়েছে হিমানির জীবন। টেনিস থেকে সরে এসে তিনি স্পোর্টস ব্যবসায় কেরিয়ার গড়ে তুলছেন। তবে এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করতে হয়েছে তাঁকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেড় কোটি টাকার চাকরি ছাড়তে করতে পিছুপা হননি তিনি।
নীরজপত্নী বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১.৫ কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। খেলাধুলার বিষয়েই চাকরি ছিল। তা প্রত্যাখ্যান করেছি। পরিবর্তে নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করব।" হিমানি এখন নীরজের সঙ্গে ইউরোপে আছেন। উল্লেখ্য, হিমানি মিরান্ডা হাউস থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক। তিনি আমেরিকার ফ্র্যাঙ্কলিন পিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
চলতি বছরের শুরুতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নীরজ-হিমানি। সকলকে চমকে দিয়ে নিজের বিয়ের কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন নীরজ। ক্যাপশনে নিজের নামের পাশে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে লিখেছিলেন পাত্রীর নাম। হিমাচলে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ ছিল নীরজ-হিমানির। বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে শুধু দুই পরিবারের ৪০-৫০ জন সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। পুরো বিষয়টিকে গোপন রাখা হয়। নীরজের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছিল, বিয়ের আসরে গোলাপি রঙের পোশাকে সেজেছিলেন পাত্র। মাথায় ছিল একই রঙের পাগড়ি। গলায় গোলাপি গোলাপের মালা। পাত্রী হিমানিও পরেছিলেন হালকা গোলাপি রঙের পোশাক।
হিমানি ও ভারতের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় সুমিত নাগাল একই স্কুলে পড়েছেন। তাঁর স্কুলের ওয়েবসাইট বলছে, ২০১৬ সালে মালয়েশিয়া থেকে বিশ্ব টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন হিমানি। ২৫ বছর বয়সি হিমানি টেনিস হাতে ভারতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের র্যাঙ্কিংয়ে সিঙ্গলে ৪২ ও ডবলসে ২৭ পর্যন্ত উঠেছিলেন। সেটা অবশ্য ২০১৮ সালে। জাতীয় স্তরে টেনিস জগতে পদার্পণের কিছুদিন পরই। তবে এখন হিমানি সম্পর্কে উঠে এল নতুন তথ্য।
