সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমান তো কী! একবার নেশা চড়লে উড়োজাহাজকেও বৈঠকখানা ভাবতেও ক্ষতি নেই। এমনই হয়তো ভেবে বসলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন হকি তারকা। বিমানে বসে ধূমপান করার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের প্রাক্তন হকি তারকা অঞ্জুম সইদের বিরুদ্ধে। অলিম্পিয়ান হয়েও তাঁর এমন কাজে লজ্জায় মুখ পুড়েছে দেশটির। ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আর্জেন্টিনায় এফআইএইচ প্রো লিগ সেরে ফিরছিল পাকিস্তান দল। সেখানে ছিলেন সইদ। ঘটনাটা ঠিক কী? তেল ভরতে ব্রাজিলের রিওয় বিমান নেমেছিল। তখনই বিমানে ধূমপান করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পাকিস্তান হকি দলের ম্যানেজার সইদ এবং দলের এক খেলোয়াড়। গুরুতর নিয়মভঙ্গ করার অপরাধে বিমানবন্দরের কর্মীরা তাঁদের নেমে তৎক্ষণাৎ নেমে যেতে বলেন।
এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, বিমান কর্মীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়েছেন সইদ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত দু'জনকে ছাড়াই বিমানটি দুবাই হয়ে পাকিস্তানে উড়ে যায়। আলাদা টিকিট কেটে দেশে ফিরতে হয় তাঁদের। ঘটনার আঁচ এত দূর গড়িয়েছে যে, নালিশ গিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশনকের কাছেও।
পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে দ্রুত স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিমান কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। এরপর সইদকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আগামী দিনে তিনি আর সেই সংস্থার বিমানে চড়তে পারবেন না। পাকিস্তান হকিতে বেশ পরিচিত নাম সইদ। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে খেলেছিলেন। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। তাঁর মতো একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের কাছে এমন আচরণ মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে মনে করছে ক্রীড়াদুনিয়া।
