সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনের দিন আচমকা বিতর্ক ঘনিয়েছিল দুই কোরিয়াকে ঘিরে। দক্ষিণ কোরিয়াকে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়া বলায় শুরু হয় বিতর্ক। কিন্তু খেলার মঞ্চে মিলে গিয়েছিল দুই যুযুধান দেশ। টেবিল টেনিস ইভেন্টের শেষে একসঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন দুই দেশের প্রতিযোগীরা। আর তাতেই নাকি পদক্ষেপ নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এমনকী কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন ওই প্রতিযোগী।
দুই কোরিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলতি বছরের শুরুতে নতুন মোড় নিয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়া জানিয়ে দিয়েছিল তাঁদের প্রধান শত্রু দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের মধ্যে উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু অলিম্পিকের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল বিরল দৃশ্য। টেবিল টেনিসের মিক্সড ইভেন্টের পোডিয়ামে পদক হাতে সেলফি তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলিটরা। ওই ইভেন্টে রুপো জেতেন উত্তর কোরিয়ার রি জং সুক ও কিম কুম ইয়ং। ওই ছবিতে ছিলেন চিনের সোনাজয়ী অ্যাথলিটরাও।
[আরও পড়ুন: মনুর প্রিয় ক্রিকেটারের তালিকায় তিন কিংবদন্তি, স্থান পেলেন ধোনি-বিরাটরা?]
গোটা বিশ্ব যখন তাঁদের সৌভ্রাতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখন নিজের দেশেই সমস্যায় উত্তর কোরিয়ার অ্যাথলিটরা। যার মূল কারণ প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এমনিতেও সেই দেশের বহু বিষয়ে যথেষ্ট কড়াকড়ি রয়েছে। যার মধ্যে অবশ্যই পড়বে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক। জানা যাচ্ছে, ওই দুজনের বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।
[আরও পড়ুন: ঘোষিত আইএসএলের সূচি, প্রথম ম্যাচেই মোহনবাগানের সামনে মুম্বই সিটি, ডার্বি কবে?]
১৫ আগস্ট দেশে ফিরেছে উত্তর কোরিয়ার দল। তার পর এক মাস ধরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন রি জং ও কিম কুম। দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিশে তাঁদের মধ্যে 'সমাজতন্ত্র বিরোধী' কোনও সংস্কৃতি প্রবেশ করেছে কিনা সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, তিন ধাপে 'পরীক্ষা' চলবে তাঁদের। সেটাতে উত্তীর্ণ হলে ফের ক্রীড়াক্ষেত্রে ফেরার অনুমতি পাবেন তাঁরা। দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তিও হতে পারে। এর আগে ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়া দল ব্যর্থ হওয়ায় তাঁদের শ্রমিকের কাজ করতে হয়েছিল বলেও শোনা গিয়েছিল।