স্টাফ রিপোর্টার: এমনিতে ছিলেন ফুটবলার। খেলেছেন আই লিগ, ডুরান্ড কাপের মতো জাতীয় প্রতিযোগিতায়। অবসর সময়ে খেলতেন ‘ফাইভ-আ-সাইড’ ম্যাচও। সেই সুবাদেই বছর তিনেক আগে জাতীয় ফুটসল ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে পড়েছিলেন। আর সেই সিদ্ধান্তই বদলে দিয়েছে নিখিল মালিকে। ফুটবল ছেড়ে এখন পুরোদমে ফুটসলে মন দিয়েছেন তিনি। আপাতত যাঁর লক্ষ্য, জাতীয় ফুটসল ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা সংবাদ প্রতিদিন ভবানীপুরের ঝুঁলিতে এনে দেওয়া।
জাতীয় ফুটসলে পুণের নিখিল একপ্রকার কিংবদন্তি। প্রতিযোগিতায় ৫৪ গোল করে তিনিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। সঙ্গে প্রথম দু’বারের চ্যাম্পিয়ন। এবার সংবাদ প্রতিদিন ভবানীপুরের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে তৃতীয় খেতাবটা জিতবেন বছর আঠাশের নিখিল। আপাতত তাঁর নজর সোমবারের থলাংটিয়াং এফসি ম্যাচে। কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেলেও জয় ছাড়া অন্য কোনও ভাবনা নেই নিখিলের।
উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুর থেকে ফোনে বলছিলেন, “আমরা প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল। জাতীয় দলের এতজন প্লেয়ার রয়েছে। আমরা প্রতিটা ম্যাচ জিততে চাই। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও আমরা জয় ছাড়া অন্য কিছুর জন্য খেলতে নামব না। আমি চাই না, আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কোনও ড্র বা হারের ছোঁয়া থাকুক। সে যতই গুরুত্বহীন ম্যাচ হোক না কেন।” ডেভিড অসুস্থ, কিমার চোট। থলাংটিয়াংয়ের বিরুদ্ধে তাদের পাবে না সংবাদ প্রতিদিন ভবানীপুর। এই অবস্থায় নিখিলের উপরেই ভরসা রাখছে দল। আগের ম্যাচে চার গোল করে দলের জয়ে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সোমবারও নিজেকে সেই ভূমিকায় দেখতে চাইছেন নিখিল।
জাতীয় ফুটসল দলে ডাক পাওয়ার পরই ফুটবল থেকে ফোকাস সরান নিখিল। বলছিলেন, “দিল্লি এফসি-র হয়ে খেলছিলাম। তখন ফুটসলের ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়। আমি দিল্লির হয়ে খেলে চ্যাম্পিয়ন হই। তারপর আবার আই লিগ আর ডুরান্ড কাপ খেলি। কিন্তু দ্বিতীয় বছরও চ্যাম্পিয়ন হই। তারপর জাতীয় ফুটসল দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলি, গোল করি। এরপরই আমি ঠিক করি, ফুটসলেই মন দেব। ফুটবল পুরো ছেড়ে দিয়েছি, তা নয়। পুণের স্থানীয় লিগে ম্যাচ খেলি। তবে জাতীয় স্তরে এখন ফুটসলটাই আমার ফোকাসে রয়েছে।” মা-বাবা এবং স্ত্রীয়ের সমর্থনেই যে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন, জানাতে ভোলেননি নিখিল।
