ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের খবরের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati)। এবার ব্যাপক নম্বর বিভ্রাটের জেরে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। এম.এডের (M.Ed) প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। তাতে কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কারও প্রাপ্ত নম্বর ১৫১!মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত মেধাতালিকায় এসব নম্বর দেখে চক্ষুচড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের। সেইসঙ্গে মনে হাজারও প্রশ্ন। এ কি সত্যিই নম্বর বিভ্রাট নাকি মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই গরমিল? বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যতই চর্চা শুরু করুক, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মুখে কুলুপ।
করোনা (Coronavirus) আবহে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে মূলত অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। ভরতি প্রক্রিয়াও চলছে সেভাবেই। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার অফ এডুকেশন কোর্সের জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। মেধাতালিকা প্রকাশের পর দেখা গেল, তাতে একজন পেয়েছেন ১৯৬.৩৬। আরেকজনের প্রাপ্ত নম্বর ১৫১.২৭। মেধাতালিকায় প্রকাশিত ৪৩ জনের মধ্যে এই দু’ জনের প্রাপ্ত নম্বরে এই বিভ্রাট দেখা গিয়েছে। বাকিদের নম্বরে অবশ্য তেমন গরমিল নেই। কিন্তু এই দু’টি নম্বরই যাবতীয় সমালোচনার কেন্দ্রে।
[আরও পড়ুন: রায়গঞ্জ গুলিকাণ্ডের নেপথ্যে ব্যক্তিগত রোষ? পুলিশকর্মীর বাড়িতে হামলায় অভিযুক্ত ২ বিএসএফ জওয়ান]
বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ বরাবরের। হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও কি তারই একটি অংশ? শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল শোরগোল। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য নম্বরের তালজ্ঞান লোপ পেয়েছে পরীক্ষকদের। এমনিতে এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এ নিয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।