অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে তৃণমূলে ‘বেসুরো’দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বনমন্ত্রী তথা বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি হয়েছে দলবদলের জল্পনাও। তাঁর মানভঞ্জনে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। সদ্যই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে জল্পনা জিইয়ে রেখেই বৈঠক নিয়ে নিজের মতপ্রকাশ করেছেন রাজীব। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে দেখা গেল বহিরাগত ব্যানার। যা নিয়ে ফের নয়া জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হাওড়া ডোমজুড়ের (Domjur) সলপ, বাঁকড়ায় এই ধরনের বহিরাগত ব্যানার দেখা যায়। ডোমজুড় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দের দেওয়া ব্যানারে লেখা রয়েছে, “সুটেবুটে, পরিযায়ী আর নয়। এবার ভূমিপুত্র চাই।” এই ব্যানারের মাধ্যমে কী তবে স্থানীয় বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝানো হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব একটি শব্দও খরচ করেনি।
[আরও পড়ুন: ‘৫০০ কোটি টাকা দিয়ে কুৎসা প্রচারের লোক এনেছে তৃণমূল’, ফের দিলীপের নিশানায় পিকে]
এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) নামে পোস্টার পড়েছে বহুবার। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও পোস্টারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার হুগলির কোন্নগরে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ব্যানার পড়ে। তার আগে শনিবারই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলবদলের পরেও শুভেন্দুর সঙ্গে ব্যানারে দেখা যাওয়ায় আরও জোরাল হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের জল্পনা। যদিও অস্বস্তি ঢাকতে এই ব্যানার বিজেপি টাঙিয়েছে বলেই দাবি শাসকদলের। তবে গেরুয়া শিবির দাবি নস্যাৎ করেছে। পালটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই কটাক্ষ তাদের। এদিকে, রাজীবের মানভঞ্জনে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় দফার বৈঠক সেরে ফেলেছেন শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক হয় তাঁর। তৃণমূলের মহাসচিব কিংবা বিধায়ক কেউই প্রায় ঘণ্টাদেড়েক ধরে চলা ওই বৈঠক নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।