সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্সের পর ফের গাজার শরণার্থী শিবিরে হামলার অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের (Israel) বিরুদ্ধে। জোড়া হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস (Hamas) পরিচালিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রক’। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মধ্য়প্রাচ্যের দেশগুলি।
উত্তর গাজায় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত স্কুল আপাতত শরণার্থী শিবিরের পরিণত হয়েছে। সেখানে তাঁবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বহু মানুষ। অভিযোগ, শনিবার সেখানেই আছড়ে পড়ে ইজরায়েলি গোলা। একবার নয়, দু-দুবার হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী। তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদ্রা জানিয়েছেন, মধ্য় গাজায় আল মাঘজি ক্যাম্পে নৃশংশ হামলায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আল আকসা শহিদ হাসপাতালে ইতিমধ্যে ৩০টি মৃতদেহ এসে পৌঁছেছে। টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় হামাস গোষ্ঠীর দাবি, সরাসরি আমজনতার বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: ‘বউ নেই, বৃথা রাত কাটছে’, বিয়ে না হওয়ার অভিমানে ভোটের ডিউটিতে যেতে নারাজ শিক্ষক!]
এদিকে ইজরায়েল-হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যে মধ্য়প্রাচ্যে কূটনৈতিক সফরে এসেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। স্বাভাবিকভাবেই ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোয় সমালোচনার পাশে পড়তে হয়েছে মার্কিন বিদেশ সচিবকে। ‘চাপে’র মুখে ব্লিঙ্কেনও মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছেন। আপাতত ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে লাগাম টানার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। যদিও ইজরায়েল সেই পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। মৃত্যু হয়েছিল ১৪০০ মানুষের। এর পর থেকেই হামাস জঙ্গিদের খতম করতে গাজায় পালটা হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। তার পর থেকে গত ৫ সপ্তাহ ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছেই।