সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রভুর নামে খুনের অভিযোগ। তাও আবার পাঁচ আত্মীয়কে। আর তাই আপাতত প্রভু এবং তাঁর দুই ছেলের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। কিন্তু প্রিয় পোষ্য ‘সুলতান’-কে দেখবে কে? প্রভু-বিনা খেতে দেবেই বা কে? তাই পোষ্যর দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশকর্মীরা।
[ আরও পড়ুন: ‘দেশদ্রোহী’দের সাফ করে পুরস্কারপ্রাপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ক্লিন দ্য নেশন’ গ্রুপ]
সূত্রের খবর, খুনের তদন্তের স্বার্থে থানার শ্রীঘর আপাতত ঠিকানা মধ্যপ্রদেশের মনোহর আহিরওয়াল ও তাঁর দুই ছেলের। কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিবাদ দিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। তার পর থেকেই দুই পরিবারের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটল অঘটনটা। একই পরিবারের এক শিশু-সহ পাঁচ সদস্যকে খুনের অভিযোগ উঠেছে আহিরওয়াল পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার পর থেকে সিঁদুরে মেঘ দেখছে সুলতান। প্রভু বাড়ি না থাকলে নাওয়া-খাওয়া তো শিকেয় উঠবে। আর হয়েওছিল তাই। জলের পাত্রে না আছে জল। খাবার তো দূরে থাক। দিনদিন শুকোচ্ছিল লেব্রডর সারমেয়। তার পর থাকতে না পেরে এগিয়ে এসেছে বিনা থানা কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়। বিনা থানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, যেদিন আহিরওয়ালদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেদিন সুলতান বেশ রেগে ছিল। পুলিশকর্মীদের পারলে ছিঁড়ে খায়। সে দৃশ্য দেখে পুলিশেরাও ভয় পেয়ে যায় অনেকে। এখন সেই থানার পুলিশকর্মীদের কাছেই খেয়েপড়ে ভালই আছে সুলতান। যত দিন যাচ্ছে, পুলিশকর্মীরাই সুলতানের নতুন পরিবার হয়ে উঠছে। সময় সময় দানাপানি পেয়ে সুলতানও আপাতত বুঝে গিয়েছে, আহিরওয়াল নয়। আপাতত বাঁচতে গেলে বিনার পুলিশকর্মীদের কাছে থাকতে হবে।
[ আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্তফাপত্র দিয়ে শেষমেশ পদ ছেড়েই দিলেন রাহুল গান্ধী ]
পুলিশের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, সুলতান এখন খোশ মেজাজেই থানায় থাকে। পুলিশের আশেপাশেই ঘুরে বেড়ায়। পুলিশের টিফিনবক্সে ভাগ বসিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে আনা খাবারেই তার পেট ভরায় সুলতান। জল খাওয়ায় আলাদা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আহিরওয়ালেরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সুলতান কোথায় থাকবে, সে নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। প্রথমে আহিরওয়ালদের আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কেউ সুলতানকে নিতে চান কিনা। কেউ সুলতানের দায়িত্ব নিতে চাননি। তারপরই তাকে থানায় নিয়ে এসে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
The post মালিক শ্রীঘরে, তার পোষ্যের ঠেলা সামলাতে হিমশিম পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.