অর্ণব আইচ: দুর্গাপুজোর চাঁদা নিয়ে বচসা, সেখান থেকে ধস্তাধস্তি। আর এই বচসার জেরে কড়াই উলটে ফুটন্ত তেল (Hot oil) গিয়ে পড়ল কচুরি দোকানের মালিকের শরীরে। গুরুতর আহত অবস্থায় সঞ্জয় সাউ নামে ওই ব্যক্তিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার বালিগঞ্জ প্লেসে রাস্তার উপর রয়েছে একটি কচুরির দোকান। রবিবার রাতে সেখানে গিয়ে হাজির হয় এলাকারই এক দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যরা। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, সঞ্জয় সাউ নামে ওই ব্যবসায়ী তখন দোকানে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে কুড়ি হাজার টাকা পুজোর চাঁদা চাওয়া হয়। তিনি অত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। দরাদরি করে শেষ পর্যন্ত ১৫ হাজার টাকায় রাজি হন ব্যবসায়ী।
[আরও পড়ুন: বিহারে পালিয়েও রেহাই নয়, কলকাতায় ফের কাজ করতে এসে হাতেনাতে ধৃত দুর্ঘটনায় দায়ী ‘চালক’]
কিন্তু চাঁদার এই অঙ্কেও আপত্তি ছিল পুজো উদ্যোক্তাদের। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তর্কাতর্কি ও বচসা বাঁধে। এরপর শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, এসবের মধ্যেই ধাক্কা দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। পাশেই কচুরি তৈরির জন্য উনুনে তেল ফুটছিল। কড়াই থেকে গরম তেল পড়ে যায় ব্যবসায়ীর পিঠে। দগ্ধ (burnt) হয়ে যায় পিঠের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘ডান্সিং ড্রাগন, মৃতদেহের উপর উঠে নাচে’, অসমের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ মমতার]
তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে অনেকে ছুটে আসেন। বেগতিক বুঝে চাঁদার জন্য ব্যবসায়ীকে চাপ দেওয়া পুজো কমিটির সদস্যরা পালিয়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (National Medical College) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রমে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরিবারের লোকেরা তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার কসবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।