অর্ণব দাস, বারাকপুর: নিউ বারাকপুরের (New Barrackpore) বিলকান্দায় গেঞ্জি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে গ্রেপ্তার কারখানার মালিক। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত যশোর রোড থেকে গ্রেপ্তার করেছে নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ। এদিন তাকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক একদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত অজয় লক্করের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা মে মাসের ২৭ তারিখ। নিউ বারাকপুরের বিলকান্দা এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তালবান্দা শিল্প তালুকের গেঞ্জি কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। আড়াই দিন কেটে গেলেও কারখানার ভিতরে ধিকিধিকি আগুন জ্বলতে থাকে। আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। অগ্নিকাণ্ডের সময়ে কারখানার ভিতরে আটকে থাকা ৪ জন কর্মীকে বের করা সম্ভব হয়নি। প্রায় তিনদিন পর কারখানার দোতলায় চারটি মৃতদেহ একসঙ্গে দেখতে পান দমকল কর্মীরা। আগুনে ঝলসে গিয়েছে চারটি দেহই। এরপরই খবর দেওয়া হয় তাঁদের পরিবারকে। মৃতদেহ শনাক্তকরণ, ময়নাতদন্তের পর তাঁদের দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এঁরা সকলেই নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মর্মান্তিক ঘটনার পর নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের তরফে তাঁদের আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১৪ লক্ষের গণ্ডি, নিম্নমুখী দৈনিক মৃত্যু]
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে কারখানার মালিক অজয় লক্করের কোনও খোঁজ মিলছিল না। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এত বড় কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ তোলেন দমকল কর্মীরা। ফলে মালিকের সন্ধানে ছিল পুলিশ। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, জেলার মধ্যেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে বসেছিল মালিক অজয় লক্কর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই পুলিশের জালে এল অভিযুক্ত মালিক। এদিন তাকে বারাকপুর আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেজাজতের আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু বিচারক ১ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। অজয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৪, ২৮৬, ১৮৬ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।