কৃষ্ণকুমার দাস: করোনা আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের কাছে অক্সফোর্ডের (Oxford) ভ্যাকসিন নিয়ে কলকাতায় বসে এবার সুখবর দিলেন গবেষণা টিমের অন্যতম সদস্য বঙ্গতনয়া বিজ্ঞানী। জানিয়ে দিলেন, মানবদেহে তৃতীয় ও শেষ দফা ট্রায়াল শেষে ডিসেম্বরেই অক্সফোডের চাডক্স ভ্যাকসিন বাজারে আসছে। নতুন বছরের শুরুতেই উৎপাদক সংস্থা সিরামের হাত ধরে আসবে ভারতেও।
চন্দ্রাবলি দত্ত, গোখেল মেমোরিয়ালের মেধাবী ছাত্রী। বাড়ি টালিগঞ্জের গলফ গার্ডেনে। ডক্টর সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভ্যাকসিন (Vaccine) আবিষ্কার নিয়ে যে গবেষণা চলছে তার ২৫ বাছাই বিজ্ঞানীর টিমের অন্যতম সদস্য চন্দ্রাবলি। পারিবারিক প্রয়োজনে দিন কয়েকের জন্য কলকাতায় এসে শনিবার হাজির হয়েছিলেন নিউ অলিপুরের সুরুচি সংঘের পুজোর থিম প্রকাশ অনুষ্ঠানে। কিন্তু পুজো ছেড়ে তাঁকে ঘিরে সাংবাদিক থেকে পুজো কমিটির সভাপতি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের যাবতীয় প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতে একটাই কৌতূহল ছিল, অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন কবে আসছে? গিলবার্টের টিমের সদস্য বঙ্গতনয়া গবেষণার শর্ত মেনে মুখে কুলুপ দিলেও আশ্বস্ত করে বলেন, “ডিসেম্বরেই করোনার ‘কমপ্লিট ভ্যাকসিন’ পাবেন বিশ্ববাসী।” অঙ্কের হিসাবে আর মাত্র তিন মাসের মধ্যেই অক্সফোর্ড করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলবে বলে আত্মবিশ্বাসী গোখেলের প্রাক্তন ছাত্রী। চন্দ্রাবলির কথায়,”উৎপাদনের অনেকটাই দায়িত্ব সিরাম নিয়েছে। জানুয়ারিতে ভারতে ভ্যাকসিন এলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদ্ধতিতে বন্টন করবেন সেটাই দেখার।”
[আরও পড়ুন: বাড়ছে জোটের শক্তি! বামেদের সুরে এবার রাজ্যে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার ডাক দিলেন অধীর চৌধুরি]
রাশিয়ায় ইতিমধ্যে বন্টন শুরু হওয়া স্পুটনিক বা ভারতের ট্রায়ালে থাকা কো-ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ডিসেম্বরে অক্সফোর্ড চাডক্স তৈরি করে ফেললেও ভারতীয় বন্টন ব্যবস্থার মারফত আমজনতার কাছে করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন পৌঁছাতে ২০২১ সালের জুন-জুলাই হয়ে যাবে বলে মনে করেন চন্দ্রাবলি। কিন্তু ১৩২ কোটি ভারতীয়র জন্য এই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৈরি করে কতদিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব? প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উত্তর দেন চন্দ্রাবলি। বলেন, “অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে উৎপাদনের দায়িত্ব নির্দিষ্ট সংস্থাকে দেবে। আর কতজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কাদের প্রয়োজন হবে, পুরোটাই দেশের সরকার ও চিকিৎসকরা ঠিক করবেন।”