সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, ‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনজুড়ে’। কে, কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে, কার প্রেমে পড়বে, তা বোঝা তো স্বয়ং ঈশ্বরেরও দুঃসাধ্য। আর মানবমনের এই স্পর্শকাতর আবেগকেই এবার রুখে দিতে চায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University), অন্তত প্রতিষ্ঠানের পরিমণ্ডলে। শোনা যাচ্ছে, এবার থেকে শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে প্রেম (Love) কিংবা যৌনতার (Sex) সম্পর্ক নিষিদ্ধকরণের পথে হাঁটছে বিশ্বের অন্যতম নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। হয়ত নতুন বছর থেকেই লাগু হতে পারে নতুন নিয়ম। এমন খবর ছড়াতেই বিস্ময়ের শেষ নেই অনেকের।
কিন্তু ব্রিটেনের মতো প্রগতিশীল দেশের এত নামী একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ কেন এমন ফতোয়া? বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে প্রেম, যৌনতা অথবা যে কোনও রোম্যান্টিক সম্পর্ক অনেক সময়েই সমস্যা তৈরি করছে, বিশেষত মহিলাদের যৌন হেনস্তার মতো অভিযোগ জমা পড়ছে ভুরিভুরি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এও এসেছে যে এ ধরনের সম্পর্কের ফলে পড়ুয়া এবং শিক্ষক – উভয়ের জীবন খানিকটা তছনছ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মানসিক সমস্যায়ও ভুগছেন। এসব এড়াতেই অক্সফোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত। জানা গিয়েছে, নতুন বছর থেকেই এই নিয়ম চালু হতে পারে।
[আরও পড়ুন: বছরশেষে ভারচুয়াল ডেটে নজর কাড়তে চান? এই বিষয়গুলি অবশ্যই খেয়াল রাখুন]
অক্সফোর্ডই প্রথম নয়, এর আগে ব্রিটেনেরই ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আমেরিকার ইয়েল-সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-পড়ুয়ার মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্কে নিষেধ রয়েছে। এবার সে পথেই হাঁটতে চলেছে অক্সফোর্ডও। যদিও অক্সফোর্ডের নিজস্ব নীতিনির্ধারণ কমিটিতে বিষয়টি পাশ করানো হলে তাবেই তা লাগু করা যাবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বেশিরভাগ সদস্যই নাকি এর পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। ফলে নীতি সংশোধনে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। কিন্তু এভাবে ফতোয়া জারিতেই কি কমবে যৌন হেনস্তা কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ? তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।