গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের রোষের মুখে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। মেট্রো ডেয়ারি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করায় চিদম্বরমকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে তাঁকে গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়।
মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই অধীরের বিপক্ষে অর্থাৎ ক্যাভেন্টার্স অ্যাগ্রোর হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করতে যান চিদম্বরম। মামলার শুনানি শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। কংগ্রেসের (Congress) আইনজীবী সেলের নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচির নেতৃত্বে কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা চিদম্বরমকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তাঁকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। যার ফলে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় হাই কোর্ট চত্বরে। বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে উঠে আদালত চত্বর ছাড়েন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ৩ বছর বাদে রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, ধস শেয়ার বাজারে]
কংগ্রেস পন্থী আইনজীবীদের নেতা কৌস্তভ বাগচির (Koustav Bagchi) দাবি, তৃণমূল সরকারের হয়ে মামলা লড়ে রাজ্যের হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মীকে আঘাত দিয়েছেন চিদম্বরম। রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। কৌস্তভের সাফ কথা, চিদম্বরম তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁত করেছেন। টাকা নিয়ে তৃণমূলের দালালি করছেন তিনি। কংগ্রেস পন্থী আইনজীবীদের সাফ কথা, তৃণমূলের দালালি করা কাউকে আমরা নেতা বলে মানি না। কৌস্তভ বাগচি জানিয়েছেন, অধীর চৌধুরীকেও (Adhir Ranjan Chowdhury) এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন। চিদম্বরমের এই ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন অধীর।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ৩ বছর বাদে রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, ধস শেয়ার বাজারে]
তবে চিদম্বরম প্রথম নন, এর আগেও রাজ্য তৃণমূলের হয়ে মামলা লড়তে এসে কংগ্রেসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা অভিষেক মনু সিংভি। তাঁকেও কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল।