সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর (Uighur) সমস্যা নিয়ে বিপাকে পাকিস্তান! জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে ইসলামাবাদ ও বেজিং একসঙ্গে কাজ করছে। চিনের (China) চেংদুর পাক দূতাবাসের টুইটার অ্যাকাউন্টে এমনই পোস্ট করা হয়। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয় তুমুল চর্চা। যদিও পরবর্তী সময় ঢোক গেলে পাকিস্তান। জানায়, তাদের টুইটার অ্য়াকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে।
চিনের জ্বলন্ত সমস্যা জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে বেজিং। তবু তাদের হেলদোল নেই। উইঘুর ও অন্য়ান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে সরব হতে দেখা যায়নি চিনের ‘বন্ধু’ পাকিস্তানকেও। অথচ অন্যান্য দেশে মুসলিম নিপীড়ন নিয়ে বরাবরই অতিসক্রিয় ইসলামাবাদ। এর মাঝেই চিনের চেংদু প্রদেশের পাক দূতাবাসের জেনারেলের টুইটে চাঞ্চল্য় ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: ভারতের উপর আর জোর খাটানো যাবে না, চিনকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রীর, তোপ পাকিস্তানকেও]
টুইটারে লেখা হয়, বন্য়া বিধ্বস্ত পাকিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক চিনের কাছে কৃতজ্ঞ। উইঘুর সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য চিনের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। পাক টুইটারে উইঘুর ইস্যুর উল্লেখ দেখে নড়েচড়ে বসে ইসলামাবাদ। সঙ্গে সঙ্গে সাফাই দেয় তারা। জানানো হয়, চেংদুর পাক রাষ্ট্রদূতের টুইটার হ্যাক করা হয়েছে। এখানে পোস্ট করা টুইটের বক্তব্যের সঙ্গে পাকিস্তান সরকার একমত নয়। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, ‘পরম বন্ধু’ চিনের চাপেই বয়ান বদল করল পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: ‘উষ্ণতম’ মকর সংক্রান্তির পরই বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা? কী বলছে হাওয়া অফিস?]
প্রসঙ্গত, শিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের।