সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সস্ত্রীক ইমরান খানের ১৪ বছরের হাজতবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ ইসলামাবাদ হাই কোর্টের। ইদের ছুটির পর মামলার শুনানি হবে, তার পরই চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত। তবে রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। কারণ অন্যান্য একাধিক মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত এই দম্পতি। হাই কোর্টের এদিনের রায়ের পরই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিপুল অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁদের। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, আগামী ১০ বছর তাঁরা কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না। এই রায়ের জন্যই দেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান। যা দেখে তাঁর দল পিটিআই-এর একাংশের দাবি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভোটের লড়াই থেকে দূরে রাখতেই এই রায় দিয়েছিল আদালত। এদিন ইসলামাবাদ হাই কোর্টের রায়ে পর তাঁদের সেই দাবিতেই সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘সবরকম সাহায্য পেয়েছি’, পান্নুন খুনের ছকের তদন্তে ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট আমেরিকার]
প্রসঙ্গত, পিটিআই প্রধান ইমরানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। যার মধ্যে তোষাখানা মামলা অন্যতম। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পদের অপব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া উপহার সামগ্রী সরকারি ভাণ্ডার বা তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে সমস্ত উপহার দেন, সেগুলি পাক তোষাখানায় জমা হয়।