সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম আর্থিক সংকট চলছে পাকিস্তানে। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। খোয়াজা মহম্মদ আসিফের দাবি, পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এ দেশের নাগরিকরা দেউলিয়া রাষ্ট্রের বাসিন্দা। তার এহেন স্বীকারোক্তি দেশের অন্দরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে পাক প্রতিরক্ষ মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনারা শুনছেন, দেশে ঘোর আর্থিক সংকট। দেশ (পড়ুন পাকিস্তান) নাকি দেউলিয়া হয়ে যাবে। দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে নয়, দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।” তিনি কেন বা কী প্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পশ্চিমী ষড়যন্ত্র! গর্ভনিরোধক বিক্রিও নিষিদ্ধ করল তালিবান]
তবে এই প্রথমবার নয়, ইতিহাস বলছে, এর আগে তিন-তিনবার দেউলিয়া হয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবার ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সর্বস্ব হারিয়ে দেউলিয়া হয়েছিল পাকিস্তান। যুদ্ধে পর্যদুস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অন্দরে নেমে এসেছিল চরম আর্থিক অনটনের কালো মেঘ। কোনওক্রমে সে যাত্রায় মুক্তি পেয়েছিল ইসলামাবাদ। এরপর আরও একবার পাকিস্তান দেউলিয়া ঘোষণা করে ১৯৯৮ সালে। সে বছর আন্তর্জাতিক রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পারমাণবিক বিস্ফোরণ বা নিউক্লিয়ার টেস্ট করেছিল তারা। ফলে ইসলামাবাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় পশ্চিমী দুনিয়া। যদিও পরে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের আর্থিক অনুদানের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি সামলে নেয় তারা।
এর ঠিক চার বছর পর ২০০২ সালে ফের একবার দেউলিয়া হয়ে যায় পাকিস্তান। এবারও বিদেশি ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানে চরম আর্থিক সংকটন। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের অনুদানের হাত ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। এই পরিস্থিতির মাঝে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান ইসলামের নামে ক্যানসার’, চূড়ান্ত কটাক্ষ IS জেহাদিদের]