সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে তালিবানের (Taliban) সম্পর্কের কথা সকলেরই জানা। আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে মার্কিন সেনা সরতে শুরু করতেই তালিবান একে একে আফগান প্রদেশগুলি দখল করতে শুরু করে। সেই সময় শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তত ১০ হাজার সেনা তালিব যোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল। আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার গড়ার পিছনে আইএসআই প্রধানের প্রভাব বিস্তার করার কথাও সকলেই জানে। কিন্তু সেই মধুর সম্পর্কে কি ফাটল ধরতে শুরু করেছে এবার? সেই গুঞ্জন জোরাল হতে শুরু করেছে এক তালিবান কমান্ডারের অডিও ফাঁস হওয়ার পরে।
কী শোনা গিয়েছে ওই অডিওয়? সেখানে ওই তালিবান কমান্ডারকে বলতে শোনা যায়, পাকিস্তানের জন্যই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তালিবানের। সূত্রানুসারে, অডিওয় যে কণ্ঠস্বরটি শোনা যাচ্ছে সেটি তালিবানের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ফজলের। কিন্তু কেন পাকিস্তানের উপরে চটেছে জেহাদিরা? ওই অডিও থেকেই জানা যাচ্ছে, যেভাবে তালিবানের সরকার গঠনের বিষয়ে নাক গলিয়েছেন আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ তা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না জেহাদিদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘প্রাণে বাঁচতে ৭২ তলা থেকেও লাফ দিয়েছিল অনেকে’, ৯/১১’র দুঃস্বপ্ন আজও কাটেনি সাক্ষীদের]
তালিবানের অভিযোগ, আফগানিস্তান দখল করার পর প্রথমে তারা জানিয়েছিল তাজিক, উজবেক ও সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায় ও পুরনো আমলের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও সরকারের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেয় ইসলামাবাদ। মূলত পাক গোয়েন্দা প্রধান জোর করাতেই হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও কোয়েত্তা সুরা গোষ্ঠীর সদস্যদেরই সরকারে নেওয়া হয়েছে। কেবল নাক গলানোই নয়, আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যেভাবে ফয়েজ হামিদের দেহরক্ষীদের সঙ্গে তালিবান যোদ্ধাদের সংঘর্ষ বেঁধেছিল তারও সমালোচনা করছে তালিবান।
গত আগস্টে কাবুলে প্রবেশ করে তালিবান। এরপরই তাদের দখলে চলে যায় আফগানিস্তান। কেবল পঞ্জশির ছাড়া বাকি সব প্রদেশেই এখন তালিবানের শাসন। প্রথম থেকেই শোনা গিয়েছিল, প্রতি মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে তালিবান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্কেই ফাটল নিয়ে তৈরি হল গুঞ্জন।