সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমার্জিং এশিয়া কাপে (Emerging Asia Cup) স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারত এ দলের। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হল ভারতের তরুণদের। আর ফাইনালের পর পাকিস্তানের (Pakistan A) দল নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। এই পাক দলটি কি সত্যিই এমার্জিং দল? একটি সংবাদমাধ্যমে এমন দাবিই করা হয়েছে।
পাকিস্তান এ দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এমার্জিং এশিয়া কাপে পাকিস্তান যাঁদের নামিয়েছে, তাঁদের অধিকাংশেরই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অনূর্ধ্ব ২৩ ভারতীয় দলের অবশ্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। পাক এ দলের ক্রিকেটাররা বয়সে বেশি ভারত এ দলের ক্রিকেটারদের থেকে। আর এটাই জয়ের মূলমন্ত্র পাকিস্তান এ দলের।
[আরও পড়ুন: এগিয়ে থেকেও অধরা জয়, কুয়াদ্রাতের সামনেই ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দিল বিএসএস]
চলতি বছরের গোড়ার দিকে পাক জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তায়াব তাহির। ফাইনালের তারকা ছিলেন তিনিই। ২৯ বছর বয়সি তাহির ৭১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান ফাইনালে। তাঁর জন্যই পাকিস্তান আঠ উইকেটে ৩৫২ রান করে।
ওপেনার স্যাম আয়ুব এবং শাহিবজাদা ফারহানেরও খেলা হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। দুই ওপেনার পাকিস্তানকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেন পাকিস্তানকে। তাঁদের আগ্রাসী ক্রিকেট তাহিরের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করে দেয়।
সুফিয়ান মুকিম ফাইনালে আসল আসল সময়ে উইকেট তুলে নেন। তাঁর এবং আরশাদ ইকবালের জন্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দ্রুত রান তুলতে পারেননি। ধীরে ধীরে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যায়।
যশ ধুলের টিম ইন্ডিয়া অপেক্ষাকৃত তরুণ দল। তাঁদের অভিজ্ঞতাও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারই জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি। বয়সের এই বৈষম্য এবং অভিজ্ঞতার পার্থক্য কিন্তু প্রশ্ন তুলে দিল এমার্জিং এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে। প্রতিভা তুলে ধরার জন্য তরুণ ক্রিকেটাররা খেলে থাকেন এই এমার্জিং এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ প্লেয়াররা ফাইনাল নিয়ন্ত্রণ করে গেলেন। পাকিস্তান ক্রিকেটারদের গড়পরতা বয়স ২৩.২।
পাক দলকে নেতৃত্ব দেন হ্যারিস। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাক দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি। মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের মতো খেলোয়াড় এমার্জিং এশিয়া কাপে খেলেছেন, যিনি তিন ফরম্যাটে খেলে ফেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে।