সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছে তালিবানরা (Taliban)। আর এর ফলে বদলাতে শুরু করেছে ভারতের (India) পশ্চিম সীমান্তের পরিস্থিতি। LOC বরাবর আরও তৎপর হতে শুরু করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সীমান্তের কাছেই দুটি বিমানঘাঁটি নতুন করে খুলেছে পাক বায়ুসেনা। আর ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব শ্রীনগর থেকে দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বন্ধ ছিল কোটলি এবং রাওয়ালকোট এয়ারবেস। কিন্তু সম্প্রতি সেই দুটি এয়ারবেসই নতুন করে খুলেছে পাক বায়ুসেনা। এর মধ্যে কোটলি এয়ারবেসের দায়িত্বে পাক সেনার ৩ পিওকে ব্রিগেড এবং রাওয়ালকোটের দায়িত্বে রয়েছে পাক সেনার ২ পিওকে ব্রিগেড। শুধু এয়ারবেসটি নতুন করে খোলাই নয়, এখানে একাধিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও মোতায়েন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইরানের কায়দায় সরকার গড়বে তালিবান, ‘সুপ্রিম লিডার’ পদে হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা!]
এখানেই শেষ নয়, পাক বায়ুসেনা নতুন করে বালুচিস্তানের শামসি এয়ারবেসেও নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করছে। নতুন করে বসানো হয়েছে কমিউনিকেশন এবং রাডারও। নতুন করে মোতায়েন করা হয়েছে বায়ুসেনার ৪০৩ স্কোয়াড্রন। এছাড়া সিন্দ প্রদেশের জেকোকাবাদে নতুন করে সেনা ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। ৭০০০ একর জমিও এজন্য নিজেদের অধীনে নিয়েছে পাক বায়ুসেনা। এছাড়া বালুচিস্তানের নাসিরাবাদেও আরও একটি বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। যার জন্য পাক সরকার ২৬ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ুসেনা ঘাঁটি না থাকার কারণেই সহজেই বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। হামলা চালিয়ে দ্রুত ফিরেও এসেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) বিমানগুলি। যার জন্য মুখ পুড়েছিল পাক বিমানবাহিনীর। যেকারণে নয়া এই পদক্ষেপ পাক সেনার। তবে মনে করা হচ্ছে, LOC বরাবর পাক বায়ুসেনার এই শক্তিবৃদ্ধি অন্য কোনও কিছুর ইঙ্গিত। আর সেজন্যই সতর্ক ভারতও। এদিকে, সূত্রের খবর, ফের একবার কাশ্মীর সীমান্তে লঞ্চপ্যাডগুলোয় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের সংখ্যা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় সেনা নজরদারিও ইতিমধ্যে বাড়িয়েছে।