সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাক ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের নিয়ে বিশেষ ভিডিও প্রকাশ করেছিল পিসিবি। অথচ সেই ভিডিও থেকে বাদ দেওয়া হয় বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানকে। যা নিয়ে ক্রিকেট মহলে প্রবল সমালোচিত হতে হয় পাক বোর্ডকে (PCB)। এমনকী নেটদুনিয়ায় পিসিবিকে বয়কটের ডাকও ওঠে। শেষে চাপের মুখে পড়ে ওই বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার উদ্যোগ নিল পাক বোর্ড। ক্ষমা চেয়ে ‘ভুল’ শুধরে নিয়েছে তারা।
গত ১৪ আগস্ট পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। সেখানেই পাক ক্রিকেটের নানা যুগের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram) থেকে শোয়েব আখতার, সকলেই জায়গা করে নেন সেই ভিডিওতে। একাধিক দৃশ্যে ধরা পড়ে পাকিস্তানের বিরানব্বইয়ের বিশ্বজয়। কাপ হাতে উল্লাস। অথচ যাঁর নেতৃত্বে সেই সাফল্য এসেছিল, সেই ইমরান খানই ফ্রেমে নেই। আর এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন সে দেশের সমর্থকরা। টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে উপরের দিকে চলে আসে ‘বয়কট পিসিবি’ হ্যাশট্যাগ।
[আরও পড়ুন: মুখের গভীরে পেল্লায় মাংসপিণ্ড, খেতেও বাধা, রোগীর প্রাণ বাঁচালেন কলকাতার চিকিৎসকরা]
শেষে বাধ্য হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিল পাক বোর্ড। কিন্তু কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ইমরানের ভিডিও? আজব অজুহাত দিল পিসিবি। তারা বলছে, “বিশ্বকাপের আগে এই ধরনের অনেক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করা হচ্ছে। এমনই একটি ভিডিও ১৪ আগস্ট পোস্ট করা হয়েছিল। সেই ভিডিও-টি একটু দীর্ঘ হয়ে যাওয়ায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ পড়ে যায়।” অর্থাৎ পাক বোর্ডের বক্তব্য, ভিডিও একটু বড় হয়ে গিয়েছিল বলে, ইমরান খানের (Imran Khan) অবদান সেখান থেকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই ‘ভুল’ সংশোধন করে পরে অবশ্য পিসিবি নতুন একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এবং তাতে ইমরান খানকেও দেখানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হয়নি গোলা বর্ষণ, শেষ আড়াই বছর শান্ত পাক সীমান্ত, তবু সতর্ক ভারত]
কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে। আপাতত তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়ানোর পাশাপাশি একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। ক্রিকেট মহলের একাংশের ধারণা, রাজনৈতিকভাবে বর্তমান শাসক শিবিরের বিরোধী হওয়ার জেরেই বাদ পড়েছিলেন ইমরান।