সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (CPEC) ও আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বলে খবর।
[আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতিতে ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে চরম দুরবস্থা পাকিস্তানের! জনতার দরবারে কোণঠাসা ইমরান]
পাক প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে খবর, সাফল্যের সঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারীর মোকাবিলার জন্য চিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইমরান। সেই সঙ্গে কোভিড অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়তে বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে চিন যেভাবে প্রতিষেধক ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছে তার জন্য ধন্যবাদও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া জানিয়েছে, ইমরানের সঙ্গে বার্তালাপে সিপিইসি প্রসঙ্গে জিনপিং বলেন, “উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে অর্থনৈতিক করিডরের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী দুই দেশ (চিন ও পাকিস্তান) পরস্পরের বিশ্বস্ত বন্ধু ও ভ্রাতৃপ্রতিম। দুই দেশ মিলে অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করবে।”
উল্লেখ্য, ভারতের বিরোধিতা সত্বেও সিপিইসি প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। তবে এই প্রকল্পের যে বিপুল খরচ তার ফলে ক্রমে বেজিংয়ের ঋণের বোঝায় চাপা পড়তে চলেছে ইসলামাবাদ বলেই মত বিশ্লেষকদের। আর সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার প্রমাণও মিলেছে। গত জানুয়ারি মাসে এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করতে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। ২৭৮ পাতার ওই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রয়েছে চিনের প্রতি বিষোদ্গার।
ইমরান ও জিনপিংয়ের দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনায় উঠে এসেছে আফগানিস্তান প্রসঙ্গও। চিন ও পাকিস্তান একযোগে বিশ্বের অন্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির কাছে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়েছে। তা ছাড়া, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পূরণে শি-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান। সেই সঙ্গে খুব শীঘ্রই চিনের প্রেসিডেন্টকে পাকিস্তানে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়ে রেখেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।