সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে গুলি, আর আলোচনার টেবিলে বড় বড় বুলি। ক্ষমতায় আসার পর এই নীতিই গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। একদিকে যখন ভারত-পাক সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সদের বর্বরতা অব্যাহত তখনই চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলোচনায় বসার ডাক দিলেন পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল যখন, কাশ্মীর সীমান্ত থেকে গলাকাটা অবস্থায় বিএসএফের হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র কুমারের মৃতদেহ উদ্ধার হল প্রায় সেসময়ই মোদিকে চিঠি লিখলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পাক শিবিরের এই দ্বিচারিতা কী আদৌ মেনে নেওয়া যায়?
[সীমান্তে ফের পাক সেনার বর্বরতা, গলা কেটে খুন ভারতীয় জওয়ানকে]
নরেন্দ্র কুমারের নৃশংস খুনের জ্বালা এখনও মেটেনি এরই মধ্যে আলোচনার ডাক পাকিস্তানের। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, এমাসের শেষে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় আলোচনার টেবিলে বসুক দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং মেহমুদ কুরেশি। বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের এই বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ইমারন ঠিক করেছেন সন্ত্রাসবাদ, কাশ্মীর পাঠানকোট হামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হোক চাইছে পাকিস্তান। এর আগে শেষবার ২০১৫ সালে সার্ক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রক পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিল ভারত-পাক। এই প্রথম নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখে শান্তির বার্তার কথা বারবার বলছেন ইমরান। তিনি চাইছেন, ২০১৫ সালে যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা আবার চালু হোক। অথচ কাজে দেখা যাচ্ছে, বর্বরতা কিছুতেই ছাড়তে চাইছে না পাক আর্মি। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বার্তা কীভাবে সম্ভব, প্রশ্ন তুলছেন কূটনীতিকরা।
[ইউপিএ আমলেও রাফালের বরাত পায়নি সরকারি সংস্থা, দাবি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে চিঠি চালাচালির এই প্রক্রিয়াটি শুরু করেছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীই। ক্ষমতায় আসার পর ইমরানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম চিঠিটি লেখেন মোদিই। শান্তি স্থাপনের জন্য যা যা করণীয় তা মিলিতভাবে করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আর এখানেই মোদির বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। পাকিস্তানের বর্বরতার জবাব না দিয়ে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া কেন? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এদিকে, সীমান্তে জওয়ানের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর মুণ্ডপাত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, “কোথায় ৫৬ ইঞ্চি ছাতি, কোথায় ১টি মাথার বদলে ১০টা মাথা কেটে আনার বুলি, সরকার দুর্নীতিগ্রস্তদের জন্য চিন্তিত অথচ জওয়ানদের জন্য নয়, মোদি জওয়ানদের কথা বলেন শুধু ভোট পাওয়ার জন্য।”
The post সীমান্তে গুলি, টেবিলে বুলি! মোদিকে চিঠি লিখে আলোচনার ডাক ইমরানের appeared first on Sangbad Pratidin.