সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে ভারতে ড্রোন পাঠানো হয়। আর সেই ড্রোনের মাধ্যমে মূলত মাদক পাচার হয়। পুরো কাজটাই করে চোরাকারবারিরা। এমনটাই স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহকারী মালিক মুহাম্মদ আহমেদ খান। পাকিস্তানের জিও নিউজের সাংবাদিক হামিদ মিরকে তিনি এই কথা বলেছেন।
গত ১৭ জুলাই আহমেদ খানের এই স্বীকারোক্তির ভিডিও টুইট করেন হামিদ মির। সেখানে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মালিক মুহম্মদ আহমেদ খানের বড় স্বীকারোক্তি। হেরোইন পাচারের জন্য পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে কাসুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা। বন্যার পুনর্বাসনের জন্য তিনি একটি বিশেষ প্যাকেজ দাবি করেছেন। অন্যথায় ভুক্তভোগীরা চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগ দেবে।’
[আরও পড়ুন: এবার প্রেমের টানে চিনা তরুণী পাকিস্তানে! পাক তরুণের সঙ্গে বাঁধলেন গাঁটছড়া]
উল্লেখ্য, এই মালিক মুহম্মদ আহমেদ খান ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের কাসুর শহরের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। তাঁকে পাকিস্তানি সাংবাদিকের পোস্ট করা সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপে বলতে শোনা যায়, ‘এলওসি-র কাছে কাসুর একটি রেঞ্জার্স এলাকা। কিছুটা সীমান্তের নিয়মের কারণে কিছুটা সংবেদনশীলতা রয়েছে।’
সাংবাদিক হামিদ মির যখন আহমেদ খানকে কাসুরে সীমান্ত পেরিয়ে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি বিষয়টি স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “অবশ্যই ড্রোনের মাধ্যমে চোরাচালান ঘটছে এবং এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সম্প্রতি দুটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রতিটি ড্রোনের সঙ্গে ১০ কিলো হেরোইন বেঁধে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এজেন্সিগুলো এটা নিয়ে কাজ করছে।’’