সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করল পাকিস্তান পুলিশ। আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন ১৫০ জনকে। মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের কড়া অবস্থানের পরই নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের প্রশাসন। তার পরই শনিবার তড়িঘড়ি দেড়শো জনকে আটক করে পাক পুলিশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, মন্দিরে হামলার কড়া নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও (Pak PM Imran Khan)।
শুক্রবারই পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত সে দেশের পুলিশ-প্রশাসনকে তুলোধনা করে। বিচারপতি বলেন, “হিন্দু মন্দিরে (Hindu Temple) হামলা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক। অথচ এ ধরণের ঘটনা দেখার পরও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ।” এর পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ আধিকারিক রহিম ইয়ার আসাদ সরফরজ জানান, “ভঙ্গতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। বাকি সন্দেহভাজনদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।” জানা গিয়েছে, ১৫০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান দখল হলে কি অন্য দেশেও হাত বাড়াবে Taliban? সন্ত্রস্ত পড়শি দেশগুলি]
পাঞ্জাব প্রদেশের সাদিকাবাদ জেলার ভঙ্গ শরিফ গ্রামের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের ভিতরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার এক সোশ্যাল মিডিয়ার উসকানিমূলক পোস্ট থেকে উত্তেজিত হয়ে লোহার রড, লাঠি, পাথর হাতে দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে চড়াও হয় ওই মন্দিরে। শুরু হয় ভাঙচুর। এই হামলার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ বারবার উঠেছে।
এই ঘটনার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিশেষ সহায়ক ড. শাহবাজ গিল। তিনি ওই ভিডিওটি পোস্ট করে টুইটারে লিখেছেন, ”এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে এই অনভিপ্রেত ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য। পাক সংবিধান সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আচারের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর।”