সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ৭৩ বছরের লড়াইয়ের পর অবশেষে সফল হলেন বালুচিস্তানের কোয়েট্টা শহরের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাঁদের নাছোড় আন্দোলনের জেরে মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হল স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা। খুলে দেওয়া হল স্বাধীনতার পর থেকে বন্ধ থাকা ২০০ বছরের পুরনো ওই গুরুদ্বারের দরজা। এই ঘটনায় প্রচণ্ড খুশি হয়েছেন স্থানীয় শিখ (Sikh) সম্প্রদায়ের মানুষরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৪৭ সালের আগে বালুচিস্তানের কোয়েট্টা (Quetta) শহরে শিখ সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ বসবাস করতেন। বেশ ভিড়ও হত গুরুদ্বারে। কিন্তু, দেশভাগের পরেই আস্তে আস্তে বদলে যায় ছবিটা। মৌলবাদী মুসলিমদের অত্যাচারে একে একে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। ক্রমশ লোক কমে আসায় দখল হয়ে যায় গুরুদ্বারটির বেশিরভাগ অংশ। এরপর সেখানে মেয়েদের জন্য একটি সরকারি স্কুল খুলে ফেলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তারপরও অবশ্য হাল ছাড়েননি বালুচিস্তানের শিখ সঙ্গতের সদস্যরা। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে গুরুদ্বারটি ফেরানোর দাবি নিয়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দ্বারস্থ হন। তাতে কোনও কাজ না হওয়া হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক হেগিয়া সোফিয়া এখন মসজিদ, ৮৬ বছর পর ফের শোনা গেল নমাজের সুর]
এরপরই আদালতের নির্দেশে আস্তে আস্তে সুর নরম করে বালুচিস্তানের সরকার। আর কিছুদিন আগে ওই গুরুদ্বারটি সারিয়ে তুলে দেওয়া শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে। সেখানে থাকা স্কুলটিও বন্ধ করে পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। এপ্রসঙ্গে বালুচিস্তানের শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক আবদুল্লা খিলজি জানান, আদালতের মামলাটি বিচারধীন ছিল বলে গুরুদ্বারটি ফিরিয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখন সেখানে থাকা স্কুলটি বন্ধ করে গুরুদ্বারটি ফের ধর্মাচরণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ড্রাগন দমনে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জোট করুক আমেরিকা’, দাবি মার্কিন সেনেটরের]
The post চাপে পড়ে ভোলবদল! শিখদের জন্য ২০০ বছর পুরনো গুরুদ্বারের দরজা খুলল পাকিস্তান appeared first on Sangbad Pratidin.