সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে কাশ্মীর উপত্যকা উত্তপ্ত করার ছক পাকিস্তানের! শুক্রবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কয়েকটি পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ড্রোনগুলিকে নিশানা করে গুলি চালান সেনা জওয়ানরা। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলি এড়িয়েই পাকিস্তানে ফিরে যায় সেগুলো। এর পরই এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সেনা সূত্রে খবর, এদিন বালনোই-মেনধার এবং গুলপুর— এই দুটি সেক্টরের কাছে পাকিস্তানি ড্রোনগুলোকে উড়তে দেখা যায়। সেগুলো মাটিতে নামিয়ে ফেলতে গুলি চালান জওয়ানরা। এর আগে বেশ কয়েকবার উপত্যকায় জেহাদিদের অস্ত্র ও মাদক সরবরাহ করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে ইসলামাবাদ। যদিও আজকের ঘটনায় কোনও মাদক বা অস্ত্র মেলেনি।
ইতিমধ্যে পড়শি দেশের ছক বানচাল করতে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য পাচারের জন্য সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসা ড্রোন সম্পর্কে তথ্য দিলে তিন লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি’, সন্দেশখালি নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে রিপোর্ট SC কমিশনের]
উল্লেখ্য, গত বছর বেশ কয়েকবার পাঞ্জাব সীমান্ত পেরিয়েও ভারতে ঢুকেছিল পাকিস্তানি ড্রোন। এই ‘মাদক জেহাদে’র নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেই ধারণা। যার পর থেকে সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে সেনার। পর্যবেক্ষকদের অভিমত, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ভোটের আবহে জম্মু- কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তাদের সাহায্য করতেই তৎপর ইসলামাবাদ।
বলে রাখা ভালো, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে পাকিস্তান (Pakistan)। ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টা করছে। আর এক্ষেত্রে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে মদতের পাশাপাশি পাঞ্জাবের খালিস্তান জঙ্গিদেরও নানাভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। তাই চিনের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে অস্ত্র ও মাদক ভারতে ঢোকানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চিং প্যাডগুলো সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।