মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু ও কাশ্মীরে ( Jammu and Kashmir) নিকেশ হয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) শীর্ষ কমান্ডার-সহ তিন জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভেঙে পড়ল ব্রহ্মস মিসাইল]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পুলওয়ামায় একটি জঙ্গিঘাঁটি মজুত থাকার খবর দেন গোয়েন্দারা। সেইমতো দ্রুত তৈরি করে ফেলা হয় অভিযানের নকশা। রাতের অন্ধকারেই সন্ত্রাসবাদীদের ডেরাটি ঘিরে ফেলে কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ ও ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফলসের একটি যৌথবাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা হামলা চালায় বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। তারপরই নিরাপত্তারক্ষীরা জানতে পারেন যে নিহত জেহাদিদের মধ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার এইজাজ ওরফে আবু হুরাইরা। উপত্যকায় একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ছিল ওই জঙ্গিনেতা। তার মৃত্যুতে বড়সড় ঢাকা খেয়েছে লস্কর বলেই মনে করছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের আরও এক কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল সে। তার আগে গত মে মাসে কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের কোমর ভেঙে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী।