সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুত্র সন্তান সৌভাগ্যের প্রতীক! বংশ প্রদীপ! তাই পুত্রসন্তানই চাই। একবিংশ শতাব্দিতে দাঁড়িয়েও পুত্রসন্তানের জন্য মরিয়া বহু মানুষ। বহু পরিবার। তার জন্য যা করতে হয় করতে তৈরি হয়ে যান দম্পতিরা। তার ফল যে কতটা মারাত্মক হয়, তার হাতেগরম প্রমাণ মিলল পাকিস্তানের (Pakistan) পেশোয়ারে। মারাত্মক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন এক মহিলা। যার জেরে আপাতত অন্ত্বঃসত্তার প্রাণ নিয়েই টানাটানি চলছে।
পর পর তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন পেশোয়ারের (Peshawar) উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের এক শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা। ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। যেনতেন প্রকারেণ এবার ছেলেই চাই। তাই সুফি ধর্মগুরুর দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বংশরপ্রদীপ পেতে তাঁকে উপায় বাতলে দিয়েছিলেন সেই ধর্মগুরু। কী সেই উপায়?
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী, দৈনিক মৃতের সংখ্যা নিয়ে চিন্তা অব্যাহত]
জানা গিয়েছে, একটি ৫ সেন্টিমিটার লম্বা ছুঁচলো পেরেক মাথার উপর রেখে তার উপর ভারী হাতুরি দিয়ে আঘাত করতে বলা হয়েছিল। আর সেটাই করেছিলেন ওই মহিলা। যার জেরে কপাল ভেদ করে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বার পেরেকটি ঢুকে যায়। ভাগ্যক্রমে মস্তিঙ্কে আঘাত লাগেনি। সংকটজনক অবস্থা পেশোয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে সেই হাসপাতালেক চিকিৎসক হায়দার খান জানান, সুফি ধর্মগুরুর কথা মেনে মাথায় পেরেক রেখে তাতে হাতুরি দিয়ে আঘাত করেন ওই মহিলা নিজেই। যার জেরে মাথায় গভীর আঘাত লেগেছে। অনেকটা গভীরে ঢুকে গিয়েছে পেরেকটি। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। যার প্রভাবে পড়েছে আগত সন্তানের উপরও। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই মহিলার তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। এবারও এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশও মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ধর্মগুরুর খোঁজ চলছে।