সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) উপরে হামলা চালাল প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী (Palestinian militant group) হামাস (Hamas)। হামলার আগেই একটি বিবৃতিতে তারা দাবি করে, সব মিলিয়ে ২০০টির বেশি রকেট ছুঁড়ে হামলা চালাতে চলেছে তারা। এর মধ্যে তেল আভিভ শহরের দিকে ১১০টি এবং বিরশেভা শহরের দক্ষিণ দিকে ১০০টিরও বেশি রকেট ছোঁড়া হবে। গাজা (Gaza) ভূখণ্ডে ইজরায়েলি বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকের প্রতিশোধ নিতেই এই রকেট হামলা বলে জানিয়ে দেয় তারা।
তাদের ঘোষণার সামান্য পরেই ওই স্থানগুলিতে সাইরেন বেজে ওঠে। ইজরায়েল সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত তেল আভিভের বাসিন্দারা বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে ‘বম্ব শেল্টার’-এ গিয়ে আশ্রয় নেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলায় অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, হামলায় নিহতদের মধ্যে কেরলের এক মহিলাও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ওই ভারতীয় মহিলা কর্মসূত্রে ওখানে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ভুল করে একসঙ্গে করোনা টিকার ৬ ডোজ দেওয়া হল ইটালির তরুণীকে! তারপর…]
এই হামলাকে পরিষ্কার ভাবে ‘প্রতিশোধ’-এর তকমা দিচ্ছে হামাস। সোমবারই ইজরায়েলের হামলায় গাজার একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ৯ তলা বহুতল গুঁড়িয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের বাড়িগুলিও। সেই হামলার বদলা নিতেই এবার রকেট হামলার পথ বেছে নিল হামাস। ইজরায়েলের এই দুই শহরের বিরুদ্ধে এটাই এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে দাবি করেছে হামাস।
গত সোমবার থেকেই প্যালেস্তানি জঙ্গি ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সোমবার ইজরায়েল অধিকৃত গাজা ভূখণ্ড এবং জেরুসালেমের একাংশে হামলা চালিয়েছিল হামাস। পালটা জবাব দেয় ইজরায়েলও। এই সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন প্যালেস্তানি মারা যান। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু। আহত হন ২২০ জনেরও বেশি। যদিও ইজরায়েলের সেনার সাফাই, তারা হামাসের উদ্দেশেই আক্রমণ চালিয়েছিল। এদিকে তার আগে গাজা থেকে করা রকেট হামলায় ৩ জন ইজরায়েলি মারা যান। সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিবেশ।
এদিনের রকেট হামলা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কীভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট উড়ে আসছিল রাতের আকাশ থেকে। বিভিন্ন আবাসস্থল থেকে বাণিজ্যকেন্দ্রে আছড়ে পড়ে সেই সব রকেট। তেল আভিভ কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য নিয়োজিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধি টর ওয়েনসল্যান্ড ইজরায়েল ও হামাস দুই পক্ষকেই সতর্ক করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আকার নিতে চলেছে।