অর্ণব আইচ: টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’কে (Pallavi Dey) ‘খুন’ ও প্রতারণা, সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগে ধৃত প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করলেন বিচারক। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই থাকবে সাগ্নিক। এই ঘটনায় এবার জেরা করা হবে ঐন্দ্রিলাকে।
গত ১৫ মে গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত দেহ। গ্রেপ্তার হন সাগ্নিক চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার ফের সাগ্নিককে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সাগ্নিকের আইনজীবী সুব্রত সর্দার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে পুলিশের হাতে। সুশান্ত রাজপুতের ক্ষেত্রেও খুনের অভিযোগে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত খুনের প্রমাণ মেলেনি। সিরিয়ালের অভিনেতা, অভিনেত্রীরা অনেক সময়ই হতাশায় ভোগেন। তারই পরিণাম পল্লবীর মৃত্যু। খুনের ধারা জোর করে যোগ করা হয়েছে। সাগ্নিককে ১৯২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে যাবতীয় নথি উদ্ধার হয়েছে। এখনও যদি নথি উদ্ধারের প্রয়োজন থাকে, তবে সাগ্নিককে হেফাজতে না রেখেও তা করা যায়।
[আরও পড়ুন: ‘বিদিশা আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিলেও বান্ধবীরা বাড়িতে জানায়নি কেন?’, প্রশ্ন ‘প্রেমিক’ অনুভবের]
সরকারি আইনজীবী জানান, পল্লবী ও সাগ্নিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রচুর লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এই ব্যাপারে পুলিশের আরও তথ্য জানার জন্য সাগ্নিককে ফের জেরার প্রয়োজন। পল্লবীর বাবা নিলু দে’র আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় আবেদনে জানান, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘটনা। পল্লবীর টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। এটি তদন্তের একেবারে প্রাথমিক স্তর। ওই ঘরে পল্লবী ও সাগ্নিক ছাড়া কেউ ছিলেন না। তাই ঘটনাটির তদন্তের প্রয়োজন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এবার এই মামলায় অন্য অভিযুক্ত সাগ্নিকের বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।